যুক্তরাষ্ট্রের ৮৯ বছর বয়সী বিলিয়নিয়ার চার্লস চাক ফিনে সম্প্রতি নিজের সব সম্পত্তি দান করে স্বেচ্ছায় দারিদ্রবরণ করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তার দান করা অর্থের পরিমাণ ৮০০ কোটি ডলার।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ডিউটি ফ্রি চেইন শপয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস তার ৮০০ কোটি ডলারের সম্পত্তি বিশ্বের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে দান করেন। মহত্বের এমন বিরল দৃষ্টান্ত দেখে ওয়ারেন বাফেট কিংবা বিল গেটসের মতো ধনকুবেররা অনুপ্রেরণাও পাচ্ছেন।
ফিনে বলেন, তিনি তার এবং তার স্ত্রীর জীবনযাত্রার জন্য ২ মিলিয়ন ডলার রেখে দিয়েছেন। বাকি সম্পত্তি দান করে এখন তিনি আগের চেয়ে অনেক সুখী।
ফোর্বসকে ফিনে বলেন, ব্যয়টা অন্যরকম ভাবে করতে চেয়েছিলাম। তাই এই কাজ আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে। স্বপ্ন পূরণ করতে পারায় আমি খুব খুশি। সম্পদ দায়িত্ব বাড়ায়। এই চিন্তা থেকেই নিজের সম্পত্তি দান করে সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করলাম।
জানা যায়, কোটিপতি হওয়ার পর থেকেই গোপনে বিভিন্ন সংস্থাকে দান করতেন চার্লস। সেই খবর প্রকাশ্যে আনতেন না। এ জন্য তাকে ‘জেমস বন্ড অব ফিলানথ্রপি’ বলেও ডাকা হতো।
ওয়ারেন বাফেট বলেন, ফিনে আমাদের সবার জন্য মডেল। তিনি তার জীবদ্দশায় যা করছেন তা করতে আমার মৃত্যুর পরেও আরও ১২ বছর সময় লাগবে।
বিল গেটস বলেন, একাজের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আরও বেশি কিছু দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করলেন ফিনে। আমাকে আর অন্যান্য দানশীল ব্যক্তিদের জীবদ্দশায় যতোটা সম্ভব দান করার জন্য অনুপ্রাণিত করছেন।
চার্লসের দান করা ৮০০ কোটি ডলার সম্পত্তির মধ্যে ৩৭০ কোটি ডলারই শিক্ষা খাতে খরচের জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়েছেন। এ ছাড়াও মানবাধিকার, সামাজিক পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য খাতে তার দানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য।
৮৯ বছর বয়সী ফিনের জীবনযাত্রাও খুব সাদামাটা। নিজের কোনো বাড়ি নেই। সান ফ্রান্সিসকোর একটি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন তিনি। নিজের গাড়িও নেই। এক জোড়া মাত্র জুতা দিয়েই চলেন বছরের পর বছর। হাতঘড়িটির দাম মাত্র ১০ ডলার। ব্যবসায়িক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র বহন করেন একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে করে। বিমান যাতায়াতে ইকোনমিক ক্লাসই তার ভরসা।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
সূত্র: গার্ডিয়ান, ইনসাইডার
এসএফ / এনএইচ