15.6 C
London
October 5, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

রয়্যাল পার্কে অবৈধ অভিবাসীরা সব রাজহাঁস খেয়ে ফেলছে—নাইজাল ফারাজ

রিফর্ম ইউকের নেতা নাইজেল ফারাজ আবারও অভিবাসীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, লন্ডনের রয়্যাল পার্কে অভিবাসীরা রাজহাঁস ও কার্প মাছ খাচ্ছে। তবে এই দাবি তাৎক্ষণিকভাবে নাকচ করেছে রয়্যাল পার্কস চ্যারিটি, যারা বলছে এমন কোনো ঘটনার প্রমাণ নেই।

ফারাজ এলবিসি রেডিওতে এ দাবি করেন। সঞ্চালক নিক ফেরারি তাকে প্রশ্ন করেছিলেন—তিনি কি এখন স্বীকার করেন যে গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কুকুর-বিড়াল খাওয়ার মন্তব্য ছিল ভিত্তিহীন? জবাবে ফারাজ পাল্টা বলেন, “আপনাকে যদি বলি রয়্যাল পার্কে রাজহাঁস খাওয়া হচ্ছে, তাহলে কি আপনি একমত হবেন না যে বিষয়টি ঘটছে?” তবে পরে তিনি নিজেই বলেন, তিনি কেবল যুক্তির পাল্টা যুক্তি দিচ্ছেন, সরাসরি প্রমাণ তার হাতে নেই।

কোন জাতিগোষ্ঠী এসব করছে জানতে চাইলে ফারাজ ইঙ্গিত করেন পূর্ব ইউরোপীয়দের দিকে। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেননি যে অভিবাসীরাই সত্যিই রাজহাঁস খাচ্ছেন। বরং তার দাবি, “যারা এমন সংস্কৃতি থেকে এসেছেন যেখানে এসব স্বাভাবিক।”

রয়্যাল পার্কস কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “লন্ডনের আটটি রয়্যাল পার্কে রাজহাঁস হত্যা বা খাওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। আমাদের কর্মকর্তারা সোয়ান স্যাংচুয়ারি’র সঙ্গে কাজ করছেন এসব পাখির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।” প্রাণী অধিকার সংগঠন পেটা ইউকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এলিসা অ্যালেনও বলেন, ব্রিটেনে রাজহাঁস খাওয়ার কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য নেই। তিনি ফারাজকে পরামর্শ দেন, “নিজের খাবার নিয়ে ভাবুন এবং রাজহাঁস, হাঁস-মুরগি ও অভিবাসীদের শান্তিতে থাকতে দিন।”

অভিবাসীদের ঘিরে ফারাজের বিতর্ক নতুন নয়। গত বছরও তিনি ট্রাম্পের মন্তব্যকে আংশিক সমর্থন করেছিলেন, যেখানে দাবি করা হয়েছিল হাইতিয়ান অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে কুকুর-বিড়াল খাচ্ছে। সে সময় ফারাজ বলেছিলেন, “আমি বাজি ধরছি, এক মাসের মধ্যেই প্রমাণ মিলবে।” কিন্তু পরে প্রমাণ মেলেনি।

এই বিতর্কের পাশাপাশি ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়েও ফারাজ আলোচনায় আছেন। ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেছেন, প্যারাসিটামল খাওয়া গর্ভবতী নারীদের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি অটিজমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেও ফারাজ ট্রাম্পকে নিন্দা করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, “বিজ্ঞান কখনোই চূড়ান্ত নয়। আমি জানি না, আপনি জানেন না। ট্রাম্প হয়তো ব্যক্তিগত কারণে বিষয়টি বলেছেন।”

ফারাজের এসব মন্তব্য ঘিরে রাজনীতি ও জনমত উভয় মহলেই সমালোচনা চলছে। একদিকে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য, অন্যদিকে ট্রাম্পকে সমর্থনের আভাস—সব মিলিয়ে তাকে ঘিরে আবারও বিতর্কের ঝড় বইছে।

সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ

এম.কে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরো পড়ুন

এবার ওমিক্রনের টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যের সুনামধন্য পত্রিকার মালিকানা ঋণের চাপে বিক্রি

যুক্তরাজ্যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে অ্যামাজন কর্মীরা