জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০২১ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে বাংলাদেশ সরকার।
রোববার (০৭ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন:
১. মরহুম এ কে এম বজলুর রহমান (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ)
২. শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ)
৩. মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ)
৪. মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ)
৫. ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি)
৬. মহাদেব সাহা (সাহিত্য)
৭. আতাউর রহমান (সংস্কৃতি)
৮. গাজী মাজহারুল আনোয়ার (সংস্কৃতি)
৯. অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন (সমাজসেবা/জনসেবা) ও
১০. বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (গবেষণা ও প্রশিক্ষণ)।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। জাতীয় পর্যায়ের গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বর্তমানে স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দিয়ে থাকে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রদত্ত বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হলো স্বাধীনতা পদক। অন্যান্য সব পুরস্কারের সঙ্গে আগামী বছর (২০২১ সাল) থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে সংশোধিত ‘জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলী’ প্রকাশ করে।
সরকারের এ নির্দেশনাবলী অনুযায়ী, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের আগামী বছর থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আগে দেওয়া হতো তিন লাখ টাকা।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য রয়েছে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১৩ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়েছে সরকার।
সূত্র: ইত্তেফাক
৭ মার্চ ২০২১
নিউজ ডেস্ক