অবশেষে বৃটেনে কমতে শুরু করেছে তেল ও দুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের দাম। যদিও তারপরেও দেশটিতে খাদ্যপণ্যের দাম এখনও বেশিই রয়ে গেছে। গবেষণা সংস্থা কান্টারের নতুন এক জরিপে বাজারের এমন অবস্থার কথাই উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত জুলাই মাসে চার পাইন্ট দুধের দাম ছিল ১.৫০ পাউন্ড, যা মার্চ মাসে ছিল ১.৬৯ পাউন্ড। অপরদিকে এক লিটার সূর্যমুখী তেলের দাম ২২ পেন্স কমে এখন এখন ২.১৯ পাউন্ডে নেমে এসেছে। তবে সার্বিকভাবে খাদ্য পণ্যের দাম এখনও বেশিই রয়ে গেছে বৃটেনে। ৬ই আগস্টের পূর্বের চার সপ্তাহে বৃটিশ পরিবারগুলোর ব্যয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর এক মাস আগে এই হার ছিল ১৪.৯ শতাংশ। এ থেকে বুঝা যায়, বৃটেনে পণ্যের দাম এখনও অনেক থাকলেও তা কমতে শুরু করেছে। তথ্যানুযায়ী জানা যায়, কান্টার দেশটির ৩৬ হাজার পরিবারের আয়ব্যায়ের হিসেব রাখে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত বছর বৃটেনে খাদ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু পাইকারি দাম কমে যাওয়ায় এখন চাপ কমতে শুরু করেছে।
বড় সুপারমার্কেটগুলিতে দেখা গেছে ডিম, দুধের মতো জিনিসগুলির দাম কমেছে। তাদের ওপর আগে থেকেই দাম কমানোর চাপ ছিল। ক্রেতারাও তাদের বাজারের খরচ কমাতে নানা উপায় খুঁজে বের করছে। অনেকেই ডিসকাউন্ট আছে এমন পণ্য কিনছে। কিংবা যে-সব সুপারমার্কেট তুলনামূলক সস্তা সেখানে যাচ্ছে।
এদিকে বৃটেনে হ্রাস পাচ্ছে মূল্যস্ফীতি। জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৬.৭ শতাংশ থেকে ৭ এর মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে জুনে এটি ছিল ৭.৯ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতি কমলেও এ বছরের পুরো সময় ধরেই খাদ্যের দাম বেশি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড বলছে, এই পরিস্থিতিতে চাপে রয়েছে বৃটেনের লাখ লাখ পরিবার
এম.কে
১৬ আগস্ট ২০২৩