যুক্তরাজ্যে কাজ করার বৈধ অনুমতি নেই— এমন কর্মী কাজে রেখে বন্ধ হচ্ছে অনেক রেস্টুরেন্ট, বাতিল হচ্ছে তাদের লাইসেন্সও। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অর্ধেক বা তারও কম বেতনে সস্তায় কর্মী নিয়োগ দিয়ে বেশি লাভের আশায় শেষ পর্যন্ত জরিমানা দিয়ে ব্যবসাই বন্ধ করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
সম্প্রতি ব্রিটেনের হোম অফিসের ‘অভিবাসনবিরোধী’ ধারাবাহিক অভিযানের অন্যতম টার্গেট হয়ে উঠছে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টগুলো। এসব অভিযানে একের পর এক অবৈধ অভিবাসী, ফুলটাইম কাজের অনুমতি নেই— ‘স্টুডেন্ট ভিসা’য় আসা এমন শিক্ষার্থীরা গ্রেফতার হচ্ছেন। হোম অফিসের অভিযানে অবৈধ কর্মীকে কাজে রাখার দায়ে রেস্টুরেন্টগুলোকে করা হচ্ছে বড় অংকের জরিমানাও।
সবশেষ গত বুধবার কিংস লিনের একটি বাংলাদেশি রেস্তোরাঁর মালিকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন অফিসাররা চলতি বছরের জুলাই মাসে লিনের বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁ স্পাইস ইনে একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালান। অভিযানে ইউনিফর্ম পরে কর্মরত চার ব্যক্তিকে কাজ করতে দেখেন যাদের যুক্তরাজ্যে বসবাস বা কাজ করার কোনও আইনি ভিত্তি নেই বলে চিহ্নিত করা হয়।
সেখানে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া এসব শ্রমিককে ন্যূনতম মজুরির অনেক কম বেতন দেওয়া হচ্ছিল বলে খবরে জানা যায় । একজন অবৈধ শ্রমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তাদের পুরো সপ্তাহে থাকার জায়গা ও খাবারের পর মাত্র ৫০ পাউন্ড বেতন দেওয়া হতো।
রেস্টুরেন্টটির মালিক তার কৃতকর্মের জন্য ভুল স্বীকার করলেও আমলে নেয় নাই যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগ।
ইস্ট অফ ইংল্যান্ডের প্রধান অভিবাসন কর্মকর্তা জ্যাক ডেভিস বলেছেন, নরফোকে অবৈধ কর্মীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির মধ্যে স্পাইস ইনে অভিযান চালানো হয়েছে। চলতি বছর ব্রিটেনজুড়ে সারা দেশে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
এম.কে
২৮ অক্টোবর ২০২৩