15.1 C
London
September 16, 2024
TV3 BANGLA
ইউরোপ

অভিবাসীকে গ্রিক কোস্টগার্ডের সমুদ্রে ছুড়ে ফেলার প্রমাণ পেল বিবিসি

গত তিন বছরে ভূমধ্যসাগরে কয়েক ডজন অভিবাসীর মৃত্যুর কারণ হয়েছে গ্রিক কোস্টগার্ড। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, এই বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে অন্তত ৯ অভিবাসন প্রত্যাশীকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করেছে।

এ বিষয়ে বিবিসির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গ্রিসের আঞ্চলিক জলসীমা থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া বা গ্রিক দ্বীপে পৌঁছানোর পরে সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়ার ফলে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে ওই ৯ জনও আছেন। তবে বিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে গ্রিক কোস্টগার্ড।

বিবিসির পক্ষ থেকে গ্রিক কোস্টগার্ডের সাবেক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে একটি ফুটেজ দেখানো হয়। এতে দেখা যায়, ১২ জন অভিবাসীকে গ্রিক কোস্টগার্ডের একটি নৌকায় তোলা হচ্ছে। পরবর্তীতে ওই অভিবাসীদের ছোট একটি ডিঙি নৌকায় সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টিকে ‘স্পষ্টতই বেআইনি’ এবং ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

গ্রিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই জোর করে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মূলত ওই অভিবাসন প্রত্যাশীদের তুরস্কের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিকভাবে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অবৈধ।

২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত এ ধরনের অন্তত ১৫ ঘটনা বিবিসি বিশ্লেষণ করেছে। এসব ঘটনায় ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় গণমাধ্যম, এনজিও এবং তুর্কি কোস্টগার্ড এই অনুসন্ধানের জন্য বিবিসিকে সহায়তা করেছে।

অভিবাসন প্রত্যাশীদের সমুদ্রে ঠেলে দেওয়ার ঘটনাগুলো নিয়ে ‘ডেড ক্যাম: কিলিং ইন দ্য মেড?’ নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বিবিসি। অন্তত ৫টি ঘটনায় অভিবাসীরা জানিয়েছেন, গ্রিক কর্তৃপক্ষ তাদের সরাসরি সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে। অন্যান্য কয়েকটি ঘটনায় মোটরবিহীন সাধারণ ডিঙি নৌকায় সমুদ্রে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি বর্ণনা দিয়েছেন ক্যামেরুনের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সামোস দ্বীপে পৌঁছানোর পর গ্রিক কর্তৃপক্ষের হাতে তারা ধরা পড়েন। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা তীরে পৌঁছানোর পরই পেছন থেকে পুলিশ চলে আসে। এদের মধ্যে কালো পোশাক পরা দুই পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ পোশাকে আরও তিনজন ছিলেন। সবার মুখেই মুখোশ ছিল, কেবল তাদের চোখগুলো দেখা যাচ্ছিল।’

ক্যামেরুনের ওই ব্যক্তি জানান, তিনিসহ আরেকজন ক্যামেরুনিয়ান এবং আইভরিকোস্টের একজনকে গ্রিক কোস্টগার্ডের একটি বোটে তোলা হয়েছিল। কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যেই ঘটনাটি আরও জটিল পরিস্থিতির দিকে মোড় নেয়।

সে যাত্রায় সাক্ষাৎকার দেওয়া ক্যামেরুনের ওই ব্যক্তি নির্মম মারধরের শিকার হলেও তার সঙ্গে থাকা অন্য দুজনকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরে তারা পানিতে তলিয়ে যান।

সূত্রঃ বিবিসি

এম.কে
১৮ জুন ২০২৪

আরো পড়ুন

মানবিক করিডোরের সাহায্যে ১২০০ আফগান আসবেন ইতালিতে

অনলাইন ডেস্ক

জার্মানিতে বাতিল হওয়া এক তৃতীয়াংশ অ্যাসাইলাম আবেদন আদালতে সফল

সীমান্তের কাছে এসে গেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ

অনলাইন ডেস্ক