11.1 C
London
November 5, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

আইসিজের আদেশের পর আরও বেপরোয়া ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফাহ এলাকায় হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া আদেশের পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। গত রোববার গভীর রাতে সেই রাফাহ এলাকাতেই বোমা হামলা চালিয়ে একটি আশ্রয়শিবির জ্বালিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ আশ্রয়শিবিরে আগুনে জীবন্ত পুড়ে মারা গেছে অন্তত ৪৫ জন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া, উপত্যকার জাবালিয়া ও নুসেইরাত এলাকায়ও বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় এদিন। গাজায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ১৬০ জন। আহত হয়েছে প্রায় ২৫০ ফিলিস্তিনি। আর এর মধ্য দিয়ে উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৬ হাজার।

বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আশ্রয়শিবিরে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে; কিন্তু তার মানে এই নয় যে, নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে হবে। এদিকে গাজায় সাংবাদিকদের হত্যা ও আহত করার অভিযোগে আইসিজেতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করেছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)। সংগঠনটি বলছে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে অনেক সাংবাদিককে সেখানে হত্যা করেছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এক এক্স বার্তায় বলেন, ‘রাফাহতে এসব হামলা অবশ্যই থামাতে হবে। সেখানে বেসামরিক নাগিরকদের জন্য কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। আমি আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা দেখানোর ও দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।’ ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার পিয়ার্স মরগান নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করে এক্স বার্তায় বলেন, ‘গত রাতে রাফাহতে যা হয়েছে, তা এক কথায় নারকীয়। ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার আছে; কিন্তু তার মানে এই নয় যে, গাজায় নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষ মেরে ফেলতে হবে। কাজেই নেতানিয়াহু, এবার আপনি থামুন।’

ফিলিস্তিনে কর্মরত জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গাজা এখন দুনিয়ার নরক’। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইহুদিদের সংগঠন ‘জিউইস ভয়েস ফর পিস’ গাজায় যা চলছে তাকে গণহত্যা অভিহিত করে বলেছে, এ গণহত্যা অবশ্যই থামাতে হবে। এখনি থামাতে হবে।

আরএসএফের অ্যাডভোকেসি ও অ্যাসিস্ট্যান্স পরিচালক অ্যান্টন বার্নার্ড বলেন, ‘যারা সাংবাদিকদের হত্যা করে, তারা জনগণের তথ্যের অধিকারের বিরুদ্ধে হামলা করছে, যেই অধিকার রক্ষা করা সংঘাতের সময় অত্যন্ত জরুরি।’ নিউইয়র্ক ভিত্তিক সাংবাদিক সুরক্ষা কমিটি জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধে অন্তত ১০৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি ১৯৯২ সাল থেকে এ-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের পর এত কম সময়ে এত জন সাংবাদিক নিহতের ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করে। এই সময়কালকে সাংবাদিকতার জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ সময় বলে অভিহিত করে সংস্থাটি।

সূত্রঃ আল জাজিরা

এম.কে
২৯ মে ২০২৪

আরো পড়ুন

আফগান আভিবাসীদের ডিপোর্ট করার কথা ভাবছে জার্মানি

দিনের বেলায় অল্প ঘুম কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে

ফিলিস্তিনিরা ‘গণহত্যার’ শিকার উল্লেখ করে জাতিসংঘ কর্মকর্তার পদত্যাগ