TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়েই উদ্বেগঃ হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়কে হোম অফিসের সতর্কবার্তা

যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়কে স্টুডেন্ট ভিসা স্পনসরশিপ দায়িত্ব পালনে একাধিক ঘাটতি ধরা পড়ায় হোম অফিসের ‘স্টুডেন্ট ভিসা অ্যাকশন প্ল্যান’-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত ১২ মাসে এটি এমন অডিট-ঝুঁকিতে পড়া অষ্টম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী গ্রহণে স্পনসর লাইসেন্স ধরে রাখা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

 

২০২৫ সালের জুনে ইউকেভিআই (UKVI) তাদের নিয়মিত ভিজিট ও অডিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরের রেকর্ড-রক্ষণ, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং ভিসা-স্ট্যাটাস মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি দুর্বলতা শনাক্ত করে। পরবর্তীতে ১৪ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হয় যে স্পনসরশিপ দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং সেজন্যই আনুষ্ঠানিক অ্যাকশন প্ল্যান জারি করা হয়েছে।

অ্যাকশন প্ল্যান আরোপ মানে প্রতিষ্ঠানটির স্পনসর লাইসেন্স বাতিল নয়, তবে এটি একটি সতর্কতামূলক ধাপ। নির্ধারিত সময়সীমার—সাধারণত তিন থেকে ছয় মাস—মধ্যে প্রতিষ্ঠানকে সব ত্রুটি সংশোধন করতে হয়। ব্যর্থ হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা, যেমন লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল, নেওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। ফলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ওপর নির্ভরশীল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতার সঙ্গে নিয়ম মেনে চলতে হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এক বছরে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একই অ্যাকশন প্ল্যানে নেওয়া হচ্ছে, যা হোম অফিসের কঠোর মনিটরিংয়ের অংশ। ছোটখাটো প্রশাসনিক ত্রুটি থেকেই শুরু করে উপস্থিতি মনিটরিং বা ভিসা তথ্য আপডেটের বিলম্ব—কোনো বিষয়ই এখন নজরদারির বাইরে থাকছে না। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সংখ্যার চাপ বাড়ায় কমপ্লায়েন্স ভঙ্গের ঝুঁকিও বেড়ে গেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইউকেভিআইয়ের চিহ্নিত করা বিষয়গুলো ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াধীন করেছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব উন্নয়নসংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পূরণ করা সম্ভব হবে। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চমানের শিক্ষা ও পূর্ণ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বর্তমানে হোম অফিসের কঠোর তদারকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষা খাতে স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা বাড়বে। তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য এটি সতর্ক সংকেত হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

সূত্রঃ ইকোনোমিকস টাইমস

এম.কে

আরো পড়ুন

ভ্যাম্পায়ার ডিভাইস বন্ধ করে ১৪৭ পাউন্ড সাশ্রয় সম্ভব

হ্যারি-মেগানের অভিযোগ নিয়ে প্যালেসের বিবৃতি

অনলাইন ডেস্ক

ব্রিটিশ আটককেন্দ্রে নির্যাতন ও বর্ণবাদের শিকার অভিবাসীরা