ভারী বৃষ্টিতে আবারও ডুবলো সিলেট নগরীর বহু এলাকা। বাসাবাড়ি, দোকানপাট তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ডুবে যায় রাস্তাঘাট। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও পানি উঠায় ভোগান্তিতে পড়েন রোগী ও স্বজনরা।
শনিবার (৮ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিক থেকে টানা ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর থেকেই একে একে ডুবতে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন এলাকা। শাহজালাল উপশহর, দরগা মহল্লা, পায়রা, জালালাবাদ, চৌহাট্টা, মিরবক্সটুলা, জামতলা, মনিপুরী রাজবাড়ি, মিরের ময়দান, সোবহানীঘাট, তেররতন, মেন্দিবাগ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও খবর নিয়ে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টি শুরুর ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অনেক এলাকায় প্রথমে সড়ক ডুবে যায়। এরপর বাড়ি ঘরে পানি উঠতে শুরু করে।
সিলেট নগরীর বাসিন্দা ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক আবদুল করিম কিম সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তিনি জানান নগরীর হোল্ডিং ট্যাক্সের নামে বিড়ম্বনার মুখে পড়েছিল সিলেট নগরীর জনগণ। গত রাতের বৃষ্টিতে পানির নীচে ছিল নগরীর বেশিরভাগ মানুষ। তিনি নগরে মেয়রের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেন।
সিলেট নগরের দরগাহ মহল্লার বাসিন্দা ফরেস্ট হিল স্কুলের সাবেক শিক্ষিকা সালমা সিদ্দিকার রিমা বলেন, রাত ১০টার দিকেই আমার পাড়ার রাস্তা ডুবে যায়। পরে প্রায় তিন ফুটের মতো পানি উঠে গেলে আমাদের বাসার সিড়ির গোড়া পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে এই ঘটনার সৃষ্টি বলে তিনি জানান।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক জানান, রাতে হাসপাতালের নিচতলায় পানি ঢুকে পড়ে। তাৎক্ষণিক রোগীদের বিকল্প ওয়ার্ডে একিভূত করে সেবা দেওয়া হয়।
সিলেট আবহাওয়া অফিসর সহকারী আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ মিলিমিটার এবং ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন রাতেও ভারী বৃষ্টিতে সিলেট নগরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পানিতে তলিয়ে যায় নগরীর বিভিন্ন এলাকা। এতে দুর্ভোগে পড়েন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
সূত্রঃ সিলেট আবহাওয়া অফিস
এম.কে
০৯ জুন ২০২৪