যুক্তরাজ্যে একটি নতুন গবেষণার তথ্যানুযায়ী ইংল্যান্ডের ৩,০০,০০০ এরও বেশি শিশুকে পরিবারের অন্য সদস্যের সাথে একটি বিছানা শেয়ার করে ঘুমাতে হয়।
ন্যাশনাল হাউজিং ফেডারেশনের (এনএইচএফ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোট বাচ্চারা ও কিশোর -কিশোরীরা তাদের বাবা মা’য়ের সাথে ওভারক্রাউডেড সমস্যায় জর্জরিত। যার অন্যতম কারণ ঘরের অভাব।
একটি বেসামরিক জরিপে দেখা গেছে ওভারক্রাউডেড বাড়িতে এক চতুর্থাংশ বাবা -মা নিয়মিত একটি বসার ঘর, বাথরুম, হলওয়ে বা রান্নাঘরে ঘুমাতে বাধ্য হন।
ওভারক্রাউডের কারণে ৪৮% বাড়িতে বাচ্চাদের পড়ালেখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না। তাছাড়া ৭০% পরিবার বলেছে তাদের জীবনযাত্রার মানের কারণে শিশুরা দুর্বল মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, সেইসব পরিবারকেই ওভারক্রাউডেড বলে চিহ্নিত করা হয় যাদের ১০ বছরের কম বয়সী দুইজন শিশু আছে। এছাড়া বাড়িতে ভিন্ন লিঙ্গের দুইজন কিশোর কিশোরী কিংবা পূর্ণবয়স্ক মানুষ থাকেন যারা আবার রিলেশনে নেই। এইসব লোকেরা যদি রুম শেয়ার করে থাকতে হয় তাহলে সেটা হয় ওভারক্রাউডেড ঘর। ইংল্যান্ডের প্রায় ৪.২ মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন যাদের সামাজিক আবাসনের প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বর্তমানে সামাজিক আবাসনের তীব্র অভাবই ওভারক্রাউডেড বা উপচে পড়া ভিড়ের মূল কারণ।
এনএইচএফ সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ির অভাবের মূল কারণ হিসাবে ২০১০ সালে সামাজিক আবাসনের জন্য সরকারের বাজেটের কাটকে দায়ী করেছে। গত বছর মাত্র ৭৫২৮ টি স্যোশাল রেন্ট হাউস নির্মিত হয়েছিল, ২০১০ সালের তুলনায় তা ৮১% কম।
এনএইচএফ জানিয়েছে, বিদ্যমান চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর ৯০,০০০ টির মতো সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ি তৈরি করতে হবে। তবেই এই সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব।
এনএইচএফের চিফ এক্সিকিউটিভ কেট হেন্ডারসন বলেছেন, ওভারক্রাউডেড বাড়িগুলো একটি সন্তানের আত্মসম্মান, মঙ্গল এবং ভবিষ্যতের জীবন পরিবর্তনের উপর একটি বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি পারিবারিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এবং পিতামাতার পক্ষে তাদের সন্তানের সঠিক লালনপালন করা কঠিন হয়ে যায়।”
আবাসন বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন,
” আবাসনের চাপ সামলানোর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন সরবরাহ বাড়িয়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।”