কিছু আশ্রয়প্রার্থীকে রুয়ান্ডায় পাঠানোর সরকারের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
কমন্সকে থেরেসা মে বলেন, “বৈধতা, ব্যবহারিকতা এবং কার্যকারিতা”-এর শর্তগুলো পূরণ করেছেন কিনা তা নিয়ে তার উদ্বেগের কারণে তিনি নীতিটিকে সমর্থন করেননি।
স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল বলেছেন যে এই প্রকল্পটি “মানব পাচারকারীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা” হবে এবং বিপজ্জনক রুটে মানুষের মৃত্যু বন্ধ করবে। নীতিটি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা এবং বিরোধী দলগুলির দ্বারা সমালোচিত হয়েছে।
থেরেসা মে, যিনি ২০১০ থেকে ২০১৬-এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব হিসাবে যুক্তরাজ্যের অভিবাসননীতির তত্ত্বাবধানের কাজ করেছিলেন, প্রশ্ন করেন যে ট্রায়াল স্কিমটি নারী ও শিশুদের পাচার বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে কিনা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে অবৈধ পারাপার করা শুধুমাত্র অববিবাহিত পুরুষদের রুয়ান্ডায় পাঠানো হবে।
গত সপ্তাহে ঘোষণা করা এই স্কিমের অধীনে – যারা বেআইনিভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে বলে মনে করা হবে তাদের আফ্রিকান দেশে পাঠানো হবে, যেখানে তাদের প্রক্রিয়া করা হবে এবং সফল হলে আফ্রিকান দেশে দীর্ঘমেয়াদী আবাসন দেওয়া হবে।
মিসেস প্যাটেলের অভিবাসন সংক্রান্ত একটি বিবৃতির জবাবে থেরেসা মে বলেছেন: “আমি এই নীতি সম্পর্কে যা শুনেছি এবং দেখেছি তা থেকে বৈধতা, ব্যবহারিকতা এবং কার্যকারিতার ভিত্তিতে রুয়ান্ডানীতিকে সমর্থন করি না৷ প্রমাণ কোথায় যে এটি কেবল নারী ও শিশুদের পাচারের দিকে নিয়ে যাবে না?”
কিন্তু প্রীতি প্যাটেল এই নীতির পক্ষে বলেন: “মানুষ যুক্তরাজ্যে আসার চেষ্টা করে মারা যাচ্ছে, তাই এই পরিবর্তনটি প্রয়োজন।”
তিনি সাংসদদের বলেন: “এই অংশীদারিত্ব হল বিশ্বব্যাপী অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও ন্যায্য করতে, মানুষকে নিরাপদ রাখতে এবং তাদের উন্নতির সুযোগ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি রূপ। এটি মানব পাচারকারীদের ব্যবসায়িক মডেল ভাঙ্গতে এবং জীবনহানি রোধ করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি যারা সত্যিকারের দুর্বল তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।”
শ্যাডো হোম সেক্রেটারি ইয়েভেট কুপার নীতিটিকে “অকার্যকর, অনৈতিক এবং চাঁদাবাজি” হিসাবে নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন যে এটি অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতা লুকানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।
এই স্কিমের খরচ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি এমন অভিযোগও তুলেছেন মিসেস কুপার।
২০ এপ্রিল ২০২২
এনএইচ