আগামী কয়েক মাসের মধ্যে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে মাইগ্রেশন সংক্রান্ত ইস্যুতে হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হোম অফিসের কর্মকর্তারা। তাদের বিশ্বাস, কোনো সমাধানে আসতে এপ্রিলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হবে।
২০২১ এর পরে ২৭ হাজারেরও বেশি অভিবাসী চ্যানেল জুড়ে ভ্রমণ করেছে। হোম অফিস এপ্রিলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চ্যানেলে অভিবাসী ক্রসিং মোকাবেলায় ফ্রান্সের সাথে একটি নতুন চুক্তি করার বিষয়ে যে চিন্তাভাবনা করছিলেন, সে বিষয়ে তারা হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানায় ডেইলি মেইল।
প্রীতি প্যাটেলের অফিসিয়ালরা ২০২১ সালে একটি নতুন রেকর্ড দেখার পরে ছোট নৌকায় বিপদজনক যাত্রা বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। এদিকে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার চাকরি বহাল রাখার জন্য লড়াই করার কারণে, ‘নির্বাচনের উত্তাপ শেষ হয়ে গেলে’ই প্রস্তাবগুলি কেবল প্যারিসে উপস্থাপন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুমান করা যায়, ফ্রান্স থেকে ছোট নৌকায় ব্যস্ত শিপিং লেন নেভিগেট করার পরে গত বছর ২৭ হাজারেরও বেশি লোক যুক্তরাজ্যে পৌঁছে। এটি ২০২০ সালে রেকর্ড করা ৮ হাজার ৪২০ জনের চেয়ে তিনগুণ বেশি।
গত বছরের নভেম্বরে একটি নৌকা ডুবির ফলে ২৭ জনের মৃত্যু হয়, যা লন্ডন এবং প্যারিসের মধ্যে জরুরি আলোচনার প্ররোচনা দেয়। কারণ তারা ক্রসিং বন্ধ করার জন্য একটি চুক্তি তৈরি করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু ব্রেক্সিটের ফলে মাছ ধরার অধিকারসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে বরিস জনসন এবং মি. ম্যাক্রোঁর মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে অপারগতা জানায় দুই পক্ষই।
প্যারিসে আলোচনায় অংশ নেওয়া একজন হোম অফিসের কর্মকর্তা দ্য টাইমসকে বলেছেন: ‘ম্যাক্রোর কর্মকর্তারা আমাদের সমস্ত প্রস্তাবে “না” বলে সেখানে বসেছিলেন। তারা মূলত বলেছে নির্বাচনের আগে সিদ্ধান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে কোনও উল্লেখযোগ্য ছাড় দিতে অক্ষম ম্যাক্রোঁ।
এদিকে জাতীয়তা এবং সীমান্ত বিল পার্লামেন্টের মাধ্যমে উত্থাপন করছে যুক্তরাজ্য সরকার, যা আশ্রয় ব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করবে।
৪ জানুয়ারি ২০২২
এনএইচ