ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে জিসিএসই (GCSE), বি-টেক (BTec) ও অন্যান্য লেভেল–২ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তবে এবার ফলাফলের চিত্র মিশ্র—ইংল্যান্ডে পাসের হার কমেছে, কিন্তু ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে উন্নতি হয়েছে।
ইংল্যান্ডে গ্রেড ৪ বা সি এবং তার উপরে প্রাপ্তির হার দাঁড়িয়েছে ৬৭.১%—যা গত বছরের ৬৭.৪% থেকে কম। ওয়েলসে এ হার বেড়ে হয়েছে ৬২.৫% এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ৮৩.৫%। শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি টানা দ্বিতীয় বছর প্রাক-মহামারি মানদণ্ডে মূল্যায়নের ফল।
গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে এবার পুনঃপরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রায় ২৩.৪% গ্রেড এসেছে ১৭ বছর বা তার বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে, যাদের বেশিরভাগই পুনঃপরীক্ষার্থী। ওসিআর পরীক্ষা বোর্ডের প্রধান জিল ডাফি এ পরিস্থিতিকে “রিসিট সংকট” বলে অভিহিত করেছেন।
ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এখনও এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান কমে এসেছে। এ বছর মেয়েদের ফল কিছুটা কমেছে, বিপরীতে ছেলেদের ফলাফল সামান্য বেড়েছে। ফলে পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ৬.১ শতাংশে, যা গত বছরের ৬.৭ শতাংশের চেয়ে কম।
অধ্যাপক লি এলিয়ট মেজর সতর্ক করেছেন, সেরা সিক্সথ ফর্মে ভর্তির প্রতিযোগিতা এ বছর আরও কঠিন হবে। প্রাইভেট স্কুল ফি-তে ভ্যাট যুক্ত হওয়ার আশঙ্কায় অনেক পরিবার সরকারি স্কুলের আসন খুঁজবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সিক্সথ ফর্ম কলেজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, কিছু কলেজ আসন বাড়ালেও অনেক প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ফিরিয়ে দিতে হবে।
এবার প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী বিটেক টেক অ্যাওয়ার্ড, ফার্স্টস ও লেভেল–২ টেকনিক্যাল কোর্সের ফলাফল পেয়েছে। আরও প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী কেমব্রিজ ন্যাশনালসের ফল হাতে পেয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রিজেট ফিলিপসন শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে বলেছেন, কোভিডকালীন সময় প্রাইমারি থেকে সেকেন্ডারি স্কুলে যাওয়া কিশোররা অসাধারণ স্থিতিস্থাপকতার প্রমাণ দিয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ফলাফল শিক্ষা ব্যবস্থার বৈষম্যও প্রকাশ করবে।
অঞ্চলভেদে ইংল্যান্ডে পাসের হারে বৈষম্য আরও বেড়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফলাফলের মধ্যে ব্যবধান গত বছরের তুলনায় বেশি। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, এর প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের ওপর পড়বে।
একই সঙ্গে, পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহে নতুনত্ব এসেছে। অনেক শিক্ষার্থী সরাসরি স্কুল থেকে ফল নিলেও এবার কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফল পেয়েছে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, এর মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ার খরচ কমানো যাবে, তবে অ্যাপ ব্যবহারে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২১ আগস্ট ২০২৫