ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ‘সংকীর্ণ স্বীয়-স্বার্থমূলক এবং জাতীয়তাবাদী’ আচরণ করা হচ্ছে বলে নিন্দা করেছেন ক্যাথলিক প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিবিসি জানায়, গ্রিক দ্বীপ লেসবসে এক অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পোপ বলেছেন, তাদেরকে রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
যুদ্ধ, অর্থনৈতিক চুক্তি (যেগুলোতে মানুষকে মূল্য দিতে হয়) এবং অস্ত্রপ্রবাহের কারণে মানুষ উন্নত জীবনের আশায় দেশান্তরী হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন পোপ।
গতমাসে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ফ্রান্স থেকে ব্রিটেন যাওয়ার পথে ২৭ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, বেলারুশ থেকে পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কয়েকজন মানুষ মারা গেছেন।
আর আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংগঠনের (আইওএম) হিসাব মতে, এ বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ জন। এসব ঘটনা উল্লেখ করেই মূলত সমালোচনার সূচনা ঘটে।
পরিস্থিতির শিকার হওয়া মানুষদেরকে শাস্তি না দিয়ে বরং অভিবাসী সংকটের পেছনে ‘বিস্মৃত যুদ্ধের’ মতো কারণগুলোর ওপর মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন পোপ।
শরণার্থীর ঢল ঠেকাতে দেয়াল তোলারও নিন্দা করেছেন পোপ। তিনি বলেন, “সংকীর্ণ স্বীয়-স্বার্থ এবং জাতীয়তাবাদ যে বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনে সে শিক্ষা আমরা ইতিহাস থেকে পাই।”
পোপ আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে যে, বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মিলেমিশে মোকাবেলা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লড়াইয়ে এমন একযোগে কাজ করার কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু অভিবাসনের ক্ষেত্রে এমন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণের লক্ষণ খুবই কম।
৫ ডিসেম্বর ২০২১
এনএইচ