TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

ইউরোস্টারের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে ভার্জিনের ৭০০ মিলিয়ন বিনিয়োগের পরিকল্পনা

রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্রুপ ক্রস-চ্যানেল রেল পরিষেবা চালুর জন্য ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে, যা ইউরোস্টারের সঙ্গে তাদের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে।

পূর্বে ভার্জিন লন্ডন ও গ্লাসগোর মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা করে আসছিল। এখন তারা লন্ডন থেকে প্যারিস এবং ব্রাসেলস সংযোগকারী রেল পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও, আমস্টারডাম পর্যন্ত ট্রেন চালানোর সম্ভাবনা বিবেচনা করছে ভার্জিন।

এই প্রকল্পের অধীনে তারা উচ্চমাত্রার ট্রেন পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। ভার্জিন ইউরোস্টারের প্রথম সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চায়। ইউরোস্টার গত ৩০ বছর ধরে ক্রস-চ্যানেল পরিষেবা পরিচালনা করে আসছে।

ভার্জিন গ্রুপ জানিয়েছে, তারা ৩০০ মিলিয়ন ইক্যুইটি ও ৪০০ মিলিয়ন ঋণ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে।

ভার্জিনের এক মুখপাত্র বলেন,
“ক্রস-চ্যানেল রুট পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। ভার্জিন এখনই পরিষেবা চালুর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না, তবে একই মনোভাবাপন্ন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কাজ করতে চায়, এবং এখন পর্যন্ত অগ্রগতি সন্তোষজনক।”

এদিকে, চ্যানেল টানেল অপারেটর গেটলিংক এবং লন্ডনের সেন্ট প্যানক্রাস রেলস্টেশন ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে ট্রেন পরিষেবার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। তারা জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের জন্যও নতুন রেলপথ উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।

সেন্ট প্যানক্রাস পিক আওয়ারে ট্রেন যাত্রীদের সংখ্যা তিনগুণ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

এই অংশীদারিত্ব গত মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এটি ব্রিটেন ও ইউরোপের মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ব্রিটেনের রেল নিয়ন্ত্রক সংস্থা Office of Rail and Road (ORR) জানুয়ারিতে লন্ডনের সেন্ট প্যানক্রাস হাইস্পিড– কোম্পানিগুলোর জন্য টানেল ব্যবহারের খরচ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে, যাতে নতুন প্রতিযোগীরা বাজারে প্রবেশ করতে পারে।

ভার্জিন একমাত্র কোম্পানি নয় যারা লন্ডন-প্যারিস রুটের কথা ভাবছে। স্প্যানিশ রেল কোম্পানি এভিলন ইতিমধ্যে এই রুটে দ্রুতগামী ট্রেন চালুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যা একটি “কৌশলগত ও উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন” রুট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

২০২৩ সালে এভিলন ঘোষণা করেছিল, তারা ফরাসি প্রস্তুতকারক এলস্টোম থেকে ১২টি উচ্চ-গতির ট্রেন কেনার জন্য একটি চুক্তি করেছে।

তবে ইউরোস্টারের একচেটিয়া বাজার ভাঙতে চাওয়া এই প্রকল্পগুলোর জন্য একটি বড় বাধা তৈরি হয়েছে। লন্ডনের লেটন এলাকার ডিপোতে প্রবেশাধিকার নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে, যেখানে ইউরোস্টার তার ট্রেন সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।

যে কোনও নতুন ক্রস-চ্যানেল রেল অপারেটরকেও এই সাইটে ট্রেন সংরক্ষণ করতে হবে, এবং ভার্জিন ও এভিলন উভয়েই ORR-এর হস্তক্ষেপ চেয়েছে।

গত ৩০ বছর ধরে ইউরোস্টারই একমাত্র কোম্পানি যা চ্যানেল টানেলের মাধ্যমে যাত্রীদের পারাপার করে আসছে।

ইউরোস্টার উচ্চ মূল্যের কারণে সমালোচিত হয়েছে এবং তারা সম্প্রতি কেন্টের আশফোর্ড ও এবসফ্লিট থেকে আন্তর্জাতিক পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।

ইউরোস্টারের কাছে এই বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলেও  তারা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
০৯ মার্চ ২০২৫

আরো পড়ুন

ব্রিটেনের রেড লিস্টেই থাকছে ভারত

যুক্তরাজ্যে সব মোবাইল ফোনে যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন সতর্ক সিস্টেম বা বার্তা

বিড়াল হত্যায় দোষী সাব্যস্ত ব্রিটিশ নাগরিক