ইতালিতে প্রায় দেড় বছর আগে এক বাংলাদেশিকে ‘অপহরণের’ অভিযোগে আরেক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
‘অপহৃত’ বাংলাদেশির নাম প্রকাশ করা হয়নি। গ্রেপ্তার হওয়া নূরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু (৫৯) প্রবাসীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সমিতি ইতালি’র সাবেক সভাপতি।
বৃহস্পতিবার ভোরে রোম প্রসিকিউটর অফিসের জেলা এন্টি-মাফিয়ার ডিরেক্টরের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় রোম পুলিশ। এই ঘটনায় বাচ্চুর দুই সহযোগী শাহ আলম ও সায়েম খন্দকারকে আদালতে নিয়মিত হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর ইতালির আকুলিয়া থানায় দায়ের করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে নূরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর এক বাংলাদেশিকে পাওনা এক লাখ ইউরোর জন্য তার স্ত্রী ও সন্তানের সামনে থেকে তরপিনিয়াতারার একটি ভারতীয় রেস্তোরাঁ থেকে ‘অপহরণ’ করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে আকুলিয়া পুলিশের মোবাইল স্কোয়াড কারসোলি এলাকার একটু আবাসিল হোটেলে অভিযান চালিয়ে ‘অপহৃত’ ওই ব্যক্তিসহ এই কাজে ‘সহায়তাকারী’ আরও ৩ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। মুক্তি পেয়ে ওই ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় জেলা আদালতের নির্দেশে বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে ‘অপহরণের শিকার’ বাংলাদেশি তরপিনিয়াতারা ক্যারাবিয়ান পুলিশের কাছে বলেন, “ওইদিন পরিবারের সঙ্গে একটি রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খাচ্ছিলাম। এসময় বাচ্চুর নির্দেশে ৩ জন বাংলাদেশি আমাকে আমার পরিবারের সামনে থেকে মারতে মারতে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এসময় তারা আমাকে এক লাখ ইউরো পরিশোধ করার কথা বলছিলো। না হলে আমাকে গলা কেটে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছিল।”
এক লাখ ইউরোর উৎস প্রসঙ্গে তিনি ক্যারিবিয়ান পুলিশকে জানান, ‘ইতালিতে থাকা কয়েকজন অবৈধ বাংলাদেশিকে বৈধকরণে তিনি সহায়তা করেছিলেন। সেই কারণে বাচ্চু তার কাছ থেকে এক লাখ ইউরো দাবি করে। চাহিদা মতো অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় তাকে অপহরণ করা হয়।’
এদিকে বাংলাদেশ সমিতির সাবেক এই সভাপতিকে আটকের পর থেকে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা-কর্মীরা।
এম.কে
১৫ এপ্রিল ২০২৪