সাদিক খান বিদেশী কর্মীদের জন্য সরকারের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে নাখোশ হয়েছেন এবং বলেছেন অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য তা লন্ডনের জন্য ক্ষতিকারক।
বুধবার মেয়র বলেছেন, লন্ডন পাবলিক সার্ভিসেস এবং ব্রিটেনের অর্থনীতিতে অভিবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। এই সপ্তাহের শুরুতে হোম অফিস ঘোষণা দেয় বিদেশী শ্রমিক ভিসার জন্য নতুন ন্যূনতম মজুরির থ্রেশহোল্ড “সপ্তাহের মধ্যে” কার্যকর হবে।
সরকার ডিসেম্বরে জানিয়েছিল অভিবাসন হ্রাস করার জন্য যুক্তরাজ্যে আসা লোকদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ হবে।
খান বলেন, ” হাজার হাজার বিদেশী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারকে নিয়ে নতুন নতুন বিধিনিষেধ প্রয়োগ অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলবে। আমাদের বিদেশী দক্ষ কর্মীদের সমর্থন করা উচিত যারা এখানে আসতে চান এবং আমাদের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চান।”
উল্লেখ্য যে কেয়ার ভিসায় পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনতে নিষেধাজ্ঞা ১১ ই মার্চ হতে কার্যকর হবে। স্কিলড ওয়ার্কার ভিসায় আগতদের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বেতনের বৃদ্ধি, ২৬,২০০ পাউন্ড থেকে ৩৮,৭০০ পাউন্ড কার্যকর হবে ৪ এপ্রিল থেকে।
পারিবারিক ভিসায় যুক্তরাজ্যে ডিপেন্ডেন্টদের আনতে বছরে বছরে নূন্যতম মজুরি ১৮,৬০০ হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২৯০০০ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ১১ই এপ্রিল হতে কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
উল্লেখ্য যে, প্রায় ৬.২ মিলিয়ন বিদেশী-বংশোদ্ভূত লোক ২০২২ সালের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন যারা শ্রমজীবী জনসংখ্যার প্রায় পঞ্চমাংশ।
মাইগ্রেশন অবজারভেটরি এবং ট্রাস্ট ফর লন্ডনের তথ্যমতে, অভিবাসীরা হসপিটালিটি, পরিবহন এবং আইটি সেক্টরে কাজ করতেন। যুক্তরাজ্যের জন্মগ্রহণকারী বাসিন্দারা যেখানে রাতের শিফট বা কঠিন কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে সেইসব সেক্টর অভিবাসীদের দ্বারাই পরিচালিত হতো।
কনজারভেটিভ মেয়র প্রার্থী সুসান হলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, ” আবারও সাদিক তার কাজের বাইরের বিষয়ের উপর নাক গলাচ্ছেন। মেয়রের নিজের কাজের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। অপরাধ হ্রাস করতে হলে কি করা উচিত তা নিয়ে তার ভাবা উচিত। ”
এম.কে
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪