থেরেসা মে “প্রতিকূল পরিবেশ” শব্দটি ব্যবহার করার জন্য আফসোস প্রকাশ করেছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। তিনি হোম অফিসের কর্মীদের নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন উইন্ডরুশ কেলেঙ্কারীতে হোমঅফিস কর্মীদের অবদান ছিল।
হোম অফিসের উইন্ডরুশ কেলেঙ্কারীর সময়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থেরেসা মে দায়িত্ব পালন করছিলেন বিধায় তিনি এরজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন বলে জানা যায়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে উইন্ডরুশ প্রজন্মের লোকদের ভুলভাবে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে লিপিবদ্ধ করায় থেরেসা মে “হতবাক” হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান।
কনজারভেটিভ এমপি জানান তিনি “গভীরভাবে দুঃখিত”। তবে তার ১৪ পৃষ্ঠার এক বিশ্লেষণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি আলোকপাত করেছেন বলে জানা যায়। যার মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করাকে তিনি চিহ্নিত করেছেন প্রধান সমস্যা হিসাবে।
১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সালের লেবার দলীয় প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট অ্যাটলিকে থেরেসা মে দোষারোপ করেন এই কেলেঙ্কারির জন্য। উইন্ডরুশ আগতদের যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার দেয়ার যথাযথ কাগজপত্র দিতে ব্যর্থ হওয়াকে থেরেসা মে ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। থেরেসা মে মনে করেন লেবার পার্টি ১৯৪৫ সালে প্রতিকূল পরিবেশ ধারনাটি সৃষ্টি করে। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী হবার পর তিনি উইন্ডরুশ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াতে উইন্ডরুশ কেলেঙ্কারীর দায় তার নিজের উপর এসেছে বলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।
চ্যাসিং স্ট্যাটাসের লেখক ফিওনা বাউডন, ২০১৪ সালের একটি প্রতিবেদনে হোমঅফিস যে বৈরী পরিবেশ আইন প্রবর্তন করছিল তার ঝুঁকিগুলি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ” আমি উইন্ড্রুশ কেলেঙ্কারী ঘটার চার বছর আগেই সে সম্পর্কে হোম অফিসকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলাম। ভুলের উপর ভিত্তি করে নেয়া সিদ্ধান্তের কারণে অনেক লোকের জীবন উলটে গিয়েছে।”
থেরেসা মে বর্তমান স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানের বিভিন্ন সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছেন। তিনি পূর্বে ঘটে যাওয়া উইন্ড্রুশ কেলেঙ্কারীকে “আফসোসযোগ্য” হিসাবে বর্ণনা করে বলেন হোম অফিস কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপে উইন্ড্রুশ প্রজন্মের উপর প্রভাবের কারণে সরকারের সুপারিশগুলি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
এম.কে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩