-2 C
London
January 11, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

এক ডজন রিফর্ম ইউকে কাউন্সিলরের একযোগে পদত্যাগ

বারো জন রিফর্ম ইউকে কাউন্সিলর নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। ইলন মাস্ক নাইজেল ফারাজের সমালোচনা করার পর দলীয় নেতাদের হতে এই পদত্যাগ নতুন চাপ বাড়াবে রিফর্ম পার্টির উপর বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

রিফর্ম ইউকে পার্টির কাউন্সিলরদের একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা, নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বের প্রতি প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কাউন্সিলররা অভিযোগ করেছেন দলটি “একনায়কতান্ত্রিক পদ্ধতিতে” পরিচালিত হচ্ছে। তথ্যমতে জানা যায়, দলটির ভেতরে চরম ডানপন্থী কর্মী টমি রবিনসনের প্রতি সমর্থন নিয়ে মতভেদ রয়েছে। যাকে মাস্ক সমর্থন করেন।

নাইজাল ফারাজ শুক্রবার রাতে সারে’র দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে সম্মেলনে শতাধিক সদস্যের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। রিফর্ম সাধারণ নির্বাচনের গতিকে কাজে লাগিয়ে এ বছর স্থানীয় নির্বাচনেও জয় লাভ করার জন্য কাজ কর‍তে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তবে, ১২ জন কাউন্সিলরের সম্ভাব্য পদত্যাগে—দলটির স্থানীয় প্রতিনিধি সংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হারানোর শঙ্কা তৈরি করবে। এরা সবাই ডার্বিশায়ারের, যা রিফর্মের মূল এলাকা। তাদের মধ্যে আছেন অ্যালেক্স স্টেফেনসন, যিনি সাধারণ নির্বাচনে অ্যাম্বার ভ্যালিতে ২৮% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন।

গার্ডিয়ানের হাতে আসা একটি বিবৃতিতে পদত্যাগকারী নেতারা বলেছেন তারা ফারাজের নেতৃত্বে চলতে পারছেন না। তারা জানিয়েছেন, “আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান দল পরিচালনা হয় অযোগ্য বা দূরভিসন্ধিমূলকভাবে। আমরা নেতৃত্ব এবং দলের মূল কাঠামোর প্রতি সমস্ত আস্থা হারিয়েছি।”

তারা অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের অভাবের অভিযোগ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে দলের বার্ষিক সম্মেলনে গৃহীত নতুন সংবিধান ত্রুটিপূর্ণ। ফারাজের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতিতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। রিফর্মকে একটি কোম্পানি হিসেবে গঠন করা হয়েছে যেখানে ফারাজের নিয়ন্ত্রণমূলক অংশীদারিত্ব রয়েছে।

তারা ফারাজ-বিরোধী এবং দলের প্রাক্তন যুগ্ম উপনেতা বেন হাবিবকে সমর্থন করেছেন, যাকে “অকস্মাৎ অপসারণ” করা হয়েছিল এবং যিনি “রিফর্ম ইউকে’র দৃষ্টি এবং মূল্যবোধের প্রকৃত প্রতিনিধি” বলে তারা উল্লেখ করেছেন।

তিন সপ্তাহেরও কম সময় আগে ফারাজ ও মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে বন্ধুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেও, মাস্ক ফারাজকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

মাস্কের এ মন্তব্য রিফর্মের অর্থায়নে তার সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে। ফারাজ ও দলের নতুন কোষাধ্যক্ষ নিক ক্যান্ডি মাস্কের সঙ্গে ডিসেম্বর মাসে মার-আ-লাগোতে দেখা করেছিলেন। এরপর থেকে মাস্ক হাবিবের পোস্টগুলো শেয়ার করছেন, যেখানে তিনি রবিনসনকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

রিফর্ম ইউকে রবিনসনের সমর্থকদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিভক্ত। তবে, মাস্ককে সন্তুষ্ট করার জন্য ফারাজ তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন বলে মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

রিফর্মের ২০২৪ সালের লন্ডন মেয়র প্রার্থী হাওয়ার্ড কক্স বৃহস্পতিবার দল ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন তাকে জানানো হয়েছিল রবিনসন থেকে দূরে থাকার জন্য, নাহলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

ফারাজ বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, “পদত্যাগকারীরা নিয়ন্ত্রণহীন একটি শাখা থেকে এসেছেন এবং এদের মধ্যে অনেকেই রিফর্ম ইউকে’র যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি।
অ্যালেক্স স্টেফেনসনকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে কারণ তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য যাচাই-বাছাই ছাড়া প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিলেন।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১১ জানুয়ারি ২০২৫

আরো পড়ুন

সবজির যোগানের ঘাটতি যুক্তরাজ্যে

ভারতীয়দের লাল তালিকাতেই রাখল ব্রিটেন

অনলাইন ডেস্ক

হুথিদের আক্রমণে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল বন্ধ করলো ব্রিটিশ কোম্পানি বিপি