দেশের প্রবল খাদ্যসংকটের সঙ্গে এখনও যুদ্ধ করে চলেছে উত্তর কোরিয়াবাসী। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা এখনও কাটেনি। প্রশাসনেরও কোনও মাথাব্যথা নেই। নিজেদের বিলাসবহুল জীবন থেকে একচুলও সরছেন না সেখানকার ‘একনায়ক’ কিম জং উন। তার মেয়েদের রয়েছে বিলাসবহুল জীবনযাপন। আর তা নিয়ে দেশের ভিতরে কথা বলার সাহস নেই উত্তর কোরিয়ার জনগণের তবে বিশ্বে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
এর আগে গত বছর মেয়েকে প্রকাশ্যে এনেছিলেন কিম জং উন। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মঞ্চে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। নাম তার কিম জু-আই। সম্ভবত সে কিমের মেজো কন্যা। তাকে প্রায় সর্বক্ষণ খেলাধুলোর মধ্যে দেখা যায়। হয় সে সাঁতার কাটছে, নয়ত ঘোড়ায় চড়ছে। কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সে যায় না। পিয়ংইয়ংয়ের নিজ বাড়িতেই পড়াশোনা চলছে তার। যার খরচ বিপুল।
সিওলের গোপন সংস্থার খবর বলেছে, কিমের তিন মেয়ে। তাদের বয়স ১৩, ১০ ও ৬ বছর। কিম তার মেঝো কন্যাকেই গড়েপিটে তুলছেন। এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম তাকে ‘রেসপেক্টেড ডটার’ বলে সম্বোধন করছে। সূত্রের খবর, জু-আই দুর্দান্ত ঘোড়সওয়ার। সাঁতার ও স্কি-তেও পারদর্শী।
মেয়েকে জনসমক্ষে আনা এবং তার সম্পর্কে খবরাখবর সংগ্রহের সুযোগ করে দেওয়ার নেপথ্যে কিম জং উনের লক্ষ্য একটাই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, মহিলা ক্ষমতায়নে জোর দিচ্ছেন তিনি। প্রথমে নিজের বোন কিম ইও জংকে প্রশাসনিক কাজকর্মে শামিল করা এবং তারপর নিজের কন্যাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া এসবেরই ইঙ্গিত। যে দেশে নিজেদের সম্পর্কে একটি তথ্যও প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে দারুণ কড়া, সেখানে কেনই বা কিমের মেয়েদের সম্পর্কে এত তথ্য মিলেছে।