যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘লন্ডন বহুভাষিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য লন্ডনের মেয়রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত সোমবার লন্ডনের এক হোটেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন ও যুক্তরাজ্য ইউনেস্কো কমিশনের যৌথ উদ্যোগে ‘Using technology for multilingual learning: Challenges and opportunities’ প্রতিপাদ্যের ভিত্তিতে মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ এবং ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বৃহত্তর লন্ডনের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে সমৃদ্ধ করেছে এমন ৩০০টিরও বেশি কমিউনিটির মধ্যে বহুভাষিকতা ও বৃহত্তর আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্প্রীতির জন্য একুশে ফেব্রুয়ারিকে লন্ডনের বহুভাষিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আমি লন্ডনের মেয়রের প্রতি আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন, লন্ডনে বাংলা তৃতীয় সর্বাধিক কথ্য ভাষা হওয়ায় হাইকমিশন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের জন্য বাংলা ভাষা শেখার সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
স্মারক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কমনওয়েলথ সেক্রেটারি-জেনারেল ব্যারনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড, ইউনেস্কোতে যুক্তরাজ্য ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিস লরা ডেভিস, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত উমিত ইয়ালসিন, উত্তর মেসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত মিসেস আলেকসান্দ্রা মিওভস্কা, কিউবার রাষ্ট্রদূত বারবারা মন্টালভো অ্যালভারেজ, জর্জিয়ার রাষ্ট্রদূত সোফি কাতসারাভা, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত সরোজা সিরিসেনা, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. ডেসরা পারসায়া, ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর মায়া শিভাগনানাম, লন্ডনের নেহেরু সেন্টারের পরিচালক আমিশ ত্রিপাঠী, ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক মাইকেল কনোলি, মহান একুশের অমর গানের রচয়িতা এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অ্যাকশন কমিটি যুক্তরাজ্যের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ এবং যুক্তরাজ্য ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কোর প্রধান নির্বাহী জেমস ব্রিজ।
কমনওয়েলথ সেক্রেটারি-জেনারেল ব্যারনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড ভাষাশহীদদের এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি বহুভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য উদ্যাপনের একটি মহান দিন, যা আমাকে আমার ডোমিনিকান শিকড় এবং মাতৃভাষা ক্রেওল-এর কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার মিশনের কর্মকর্তা ও অতিথিদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপিত একটি প্রতীকী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর ভাষাশহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে লন্ডনে অবস্থিত দূতাবাসগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির শিল্পীরা মহান ভাষা শহীদ ও জাতির পিতাকে উৎসর্গ করে মনোজ্ঞ সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এনএইচ