জলবায়ু সংকট নিয়ে কনজারভেটিভ দল নতুন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। কনজারভেটিভ দলের একজন সাবেক মন্ত্রী সরকারের বিরুদ্ধে তার অবস্থান পরিষ্কার করে লেবার পার্টিকে ভোট দিবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন।
ঋষি সুনাকের জন্য যা হতে যাচ্ছে আরেকটি বড় ধাক্কা, প্রাক্তন মন্ত্রী ক্রিস স্কিডমোর প্রধানমন্ত্রীকে জলবায়ু নিয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া ও ইশতেহারে জলবায়ু নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা না থাকায় কঠিন সমালোচনা করেছেন।
ক্রিস স্কিডমোর বলেন ঋষি সুনাক আমাদেরকে যেভাবে পরিবেশগতভাবে ক্ষতির মুখোমুখি করেছেন ঠিক একইভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ফেলেছেন। ব্রিটিশ জনগণ ঋষি সুনাকের নিকট হতে আর ভালো কিছু আশা করে না।
মিঃ স্কিডমোর দ্য গার্ডিয়ানকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি এমন কোনও দলের পক্ষে ভোট দিতে পারি না যারা নির্বাচনী ইশতেহারে জলবায়ু সংকট এড়িয়ে যেতে পারে। ঋষি সুনাক নতুন তেল ও গ্যাস লাইসেন্স প্রদান করে গর্বিত বোধ করে যাচ্ছেন এবং বলে যাচ্ছেন “নেট-জিরো” ব্যবস্থা একটি বোঝা কোনো সুবিধা নয়। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি লেবার পার্টিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সবুজ শিল্প বিপ্লব অর্জনের জন্য সাহায্য করে যাবো। কারণ উভয় বিষয়েই লেবার পার্টির অবস্থান একদম পরিষ্কার।
মিঃ সুনাক ইউলেজ সম্প্রসারণ নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ব্রিটিশ পরিবারগুলিকে “অগ্রহণযোগ্য ব্যয়” থেকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কনজারভেটিভ সরকার। আমরা নবায়নযোগ্য শিল্পের জন্য যে কাজ করতে চাচ্ছি সেটা নিয়ে ক্রিস কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য যে, প্রাক্তন জ্বালানি মন্ত্রী স্কিডমোর সাগরে তেল ও গ্যাস ড্রিলিংয়ের জন্য নতুন লাইসেন্স দেওয়ার কারণে কনজারভেটিভ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ হতে জানুয়ারি মাসে পদত্যাগ করেছিলেন। মিঃ স্কিডমোর, যিনি ২০২৩ সালে সরকারের নেট শূন্য পর্যালোচনার নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ সম্পর্কে মিঃ সুনাকের নীতিমালার সমালোচকও ছিলেন।
সূত্রঃ স্কাই নিউজ
এম.কে
২১ জুন ২০২৪