কার্ডিফ ইউনিভার্সিটি তহবিল ঘাটতির কারণে ৪০০ পূর্ণকালীন চাকরি কাটছাঁট করার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছে।
এই ব্যয় সংকোচনের প্রস্তাবের মধ্যে কোর্স বন্ধ করা এবং বিভাগগুলোর সংযুক্তিকরণ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। নার্সিং, সঙ্গীত এবং আধুনিক ভাষা বিষয়গুলোও এই কাটছাঁটের আওতায় রয়েছে।
কার্ডিফ ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ ইউনিয়ন (UCU) এই পদক্ষেপগুলোকে “নিষ্ঠুর এবং অপ্রয়োজনীয়” বলে আখ্যা দিয়ে বাধ্যতামূলক ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, বাধ্যতামূলক ছাঁটাই শুধুমাত্র “অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হলে” করা হবে।
কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ওয়েন্ডি লার্নার বলেছেন, এই পদক্ষেপ না নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানো “অসম্ভব” হয়ে যেত।
তিনি বলেছেন, চাকরির কাটছাঁট এখনো প্রস্তাবিত পর্যায়ে আছে, তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস এবং খরচ বৃদ্ধির চাপের কারণে “কঠিন সিদ্ধান্ত” নিতে হচ্ছে।
প্রফেসর লার্নার আরও বলেন, কার্ডিফ ইউনিভার্সিটি একা নয়; যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় “ভাঙা” তহবিল ব্যবস্থার সঙ্গে লড়াই করছে।
তিনি স্বীকার করেন, এই খবর কর্মীদের জন্য “চ্যালেঞ্জিং এবং কঠিন” হবে, তবে বর্তমান ডিগ্রিতে ভর্তি সকল শিক্ষার্থী তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারবে।
কার্ডিফ UCU-র ড. জোয়ি হুইটফিল্ড বলেছেন, “নিষ্ঠুর এবং অপ্রয়োজনীয়” এই ছাঁটাইয়ের খবর শুনে তারা “মনে আঘাত পেয়েছেন”।
তিনি বলেন, “আমার সহকর্মীরা কাঁদছেন। এটি আমাদের সদস্য, শিক্ষার্থী, শহর এবং পুরো ওয়েলসের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।”
ড. হুইটফিল্ড আরও বলেন, “আমরা বাধ্যতামূলক ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত।”
ওয়েলস সরকারের একজন মুখপাত্র জানান, নার্সিং কোর্স বন্ধের প্রস্তাবের বিষয়ে তারা “খুবই হতাশ”, এবং একই সংখ্যক নার্স প্রশিক্ষিত রাখার জন্য “জরুরি ভিত্তিতে কাজ” করছে।
রয়্যাল কলেজ অফ নার্সিং (RCN) বলেছে, নার্সিং স্কুল বন্ধের প্রস্তাব ওয়েলসের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য বোর্ডে নিবন্ধিত নার্সের যোগানকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী নিম্নলিখিত বিভাগগুলো একত্রিত করা হবে:
রসায়ন, আর্থ সাইন্স এবং পদার্থবিজ্ঞান একত্রিত হয়ে স্কুল অফ ন্যাচারাল সায়েন্সেস হবে।
কম্পিউটার সায়েন্স এবং গণিত একত্রিত হয়ে স্কুল অফ ডাটা সায়েন্স হবে।
সামাজিক বিজ্ঞান, ভূগোল এবং পরিকল্পনা একত্রিত হয়ে স্কুল অফ হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস হবে।
ইংরেজি, যোগাযোগ ও দর্শন, ওয়েলশ, ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব এবং আধুনিক ভাষাগুলো একত্রিত হয়ে স্কুল অফ গ্লোবাল হিউম্যানিটিজ হবে।
এই প্রস্তাবের ওপর পরামর্শ গ্রহণ প্রক্রিয়া তিন মাস চলবে। ২০২৫ সালের জুনে চূড়ান্ত পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২৯ জানুয়ারি ২০২৫