স্বল্পোন্নত ও দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তার প্রয়োজনে উন্নত দেশগুলোতে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমে বুস্টার ডোজের স্থগিতাদেশ চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যেসব দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়নি এসব দেশের সাহায্যার্থে এমন আবেদন জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক ট্রেড্রেস অ্যাডহ্যানস।
উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তেদ্রোস আধানম উল্লেখ করেন, ধনী দেশগুলো প্রতি ১০০ জন নাগরিকের বিপরীতে ১০০ ডোজ কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকার ব্যবস্থা করলেও স্বল্প আয়ের দেশগুলো প্রতি ১০০ নাগরিকের বিপরীতে মাত্র ১ দশমিক ৪ ডোজ টিকার ব্যবস্থা করতে পেরেছে। অনুন্নত দেশগুলোতে টিকার সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
ডব্লিউএইচও কর্মকর্তারা জানান, যেসব ব্যক্তি এরই মধ্যে কভিড টিকার দুই ডোজ সম্পন্ন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ কতটা কার্যকর তা এখনো প্রমাণিত নয়। অন্যদিকে ইউএন হেলথ এজেন্সি ক্রমাগতভাবেই অনুন্নত দেশগুলোতে কভিড টিকার সরবরাহ বাড়াতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে।
বলা হচ্ছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত একজন ব্যক্তিও অনিরাপদ অবস্থানে থাকছেন ততক্ষণ কেউ নিরাপদ নন। নভেল করোনাভাইরাস যত তার সংক্রমণ আরো বিস্তৃত করবে তত তার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হবে বলে মত দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ফলে করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় বিশ্বকে আরো প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে।
ডব্লিউএইচও কর্তৃক মে মাসের ঘোষণার প্রতি ইংগিত দিয়ে তেদ্রোস জানান, প্রতিটি দেশের অন্তত ১০ শতাংশ মানুষকে কভিড-১৯ টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুস্টার ডোজের প্রয়োগ বন্ধ রাখা উচিত। এ সময়ের মধ্যে প্রতিটি দেশের ১০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।
৬ আগস্ট ২০২১
সূত্র: এপি