২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে ৩ লাখের বেশি অভিবাসী আসতে পারেন। যা দেশটির রাজস্ব বিভাগের ধারণার চেয়েও ৩ লাখ বেশি। ইমিগ্রেশন বিভাগের সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি আবুল রিজভি বলছেন, মহামারির আগে করা ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ২ লাখ ৩৫ হাজার অভিবাসী আসার পূর্বাভাসে প্রকৃত পরিস্থিতি বিবেচনায় আসেইনি।
অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী জিম চার্লমার্স ইঙ্গিত দিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ান বিজনেস কাউন্সিলের পরামর্শে দেশটি জনসংখ্যার অনুপাতে অভিবাসী গ্রহণের নীতি নিতে পারে। এতে নিশ্চিতভাবে অভিবাসীর সংখ্যা বাড়বে। অক্টোবরে বাজেট পূর্বাভাসে বলা হয়েছিলো, আগামী ২ অর্থবছরে দেশটিতে প্রতিবছর ২ লাখ ৩৫ হাজার অভিবাসী আসবেন। এতে ২০০৪-০৫ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের গড় হিসাবে নেওয়া হয়েছে। এদের ১ লাখ ৯০ হাজার হবে স্থায়ী অভিবাসী। ৩৭ হাজার হবে মানবিক অভিবাসী এবং ৬৬ হাজার অস্থায়ী অভিবাসী। যারা কখনই স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকবেন না।
রিজভি বলছেন, ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট প্রকৃত অভিবাসীর সংখ্যা বিবেচনায় নেয়নি। তিনি জানান, গেলো অক্টোবরেই শুধু ১০ লাখ ২০ হাজার লোকের আগমনের বিপরীতে মাত্র ১০ লাখ অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করেছেন। তার মতে, এই হিসাব মাথায় রাখলে বলাই যায়, চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় ৩ লাখের বেশি অভিবাসী আসবেন।