চীন ফের অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধে নতুন করে উত্তেজনার সঞ্চার করেছে। বেইজিং-এর সাম্প্রতিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চীন-ভারত সীমান্ত কখনওই নির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত হয়নি। এটি পূর্ব, মধ্য, পশ্চিম এবং সিকিম—এই চারটি সেক্টরে বিভক্ত। পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরের জাংনান অঞ্চল (যেটিকে ভারত অরুণাচল প্রদেশ হিসেবে দেখে) বরাবরই চীনের অংশ।”
চীনের দাবি, ভারতের ‘অবৈধ দখলের’ পূর্বে চীন ওই অঞ্চলে কার্যকরী প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং তা বহু বছর ধরে চলেছে। “এটি একটি মৌলিক সত্য, যা অস্বীকার করা যায় না”—বলেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চীনের এই বক্তব্য ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। ভারত বহুবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং এই প্রদেশের জনগণ ভারতের অংশ হিসেবে নিজ নিজ সাংবিধানিক অধিকার উপভোগ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের বিবৃতি মূলত কৌশলগত চাপ সৃষ্টি এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে সীমান্ত ইস্যুকে পুনরায় তুলে ধরার প্রচেষ্টা। অরুণাচলকে ঘিরে চীন আগেও বিভিন্ন সময় মানচিত্র প্রকাশ করেছে যেখানে তারা এই রাজ্যকে নিজেদের অংশ হিসেবে দেখিয়েছে।
এদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লাদাখ এবং অরুণাচল সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা আবারও বাড়ছে বলে খবর মিলছে।
এই প্রেক্ষাপটে চীনের এমন দাবি দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে সীমান্ত সমস্যা আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
১৭ মে ২০২৫