পাকিস্তানের করাচির ইসলামিক প্রতিষ্ঠান জামিয়া বিনোরিয়া টাউন, জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটককে হারাম ঘোষণা করে ফতোয়া জারি করেছে। অ্যাপটি আধুনিক সময়ের সবচেয়ে বড় প্রলোভন আখ্যা দিয়ে এর ব্যবহারকে অবৈধ বলেও ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি ২০২১ সালে টিকটক পাঁচ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। পরে আপত্তিকর বা অনৈতিক বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদারের বিষয়ে টিকটক কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ পূর্বে অনৈতিকতার অভিযোগে টিকটক নিষিদ্ধ করার দাবি করেছিল। জামিয়া বিনোরিয়ার জারি করা অনলাইন ফতোয়া অনুসারে, টিকটক শরীয়াহ অনুসারে হারাম ও আধুনিক যুগে ফিতনা বাড়াচ্ছে।
প্রদত্ত কারণগুলোর মধ্যে একটি হল, শরিয়া আইন অনুযায়ী পশুদের ছবি ও ভিডিও নিষিদ্ধ যা অ্যাপটিতে রয়েছে। নারীরা অ্যাপটিতে পর্নোগ্রাফিক ভিডিও বানিয়ে সেগুলো শেয়ার করে।
এছাড়াও টিকটকে নাচ ও গানের ভিডিও আপলোড করে থাকে নারী পুরুষ সকলেই যা শরিয়াহ মোতাবেক নিন্দনীয়। অ্যাপের কারণে সময় অপচয় ও নৈতিক অবক্ষয় ঘটে। এ ধরনের অভ্যাস অশ্লীলতা ও নগ্নতা ছড়ায়।
জামিয়া বানোরিয়ার জারি করা ফতোয়ায় জোর দেওয়া হয়েছে যে টিকটক হল এমন একটি জায়গা যেখানে শিক্ষা ও ধর্মকে নিয়ে মজা করে ভিডিও বানানো ছাড়াও যে কোনো বিষয় নিয়ে উপহাস করে ভিডিও বানিয়ে আপলোড দেওয়া যায়।
ফতোয়ায় বলা হয়েছে, টিকটক ব্যবহার করার মাধ্যমে অবশ্যই শরিয়া মোতাবেক নিষিদ্ধ এমন কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক। এই ধরনের অপরাধ করা থেকে বিরত থাকা কার্যত কঠিন। তাই টিকটক ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
সূত্রঃ ডন
এম.কে
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩