প্রায় ছয় মাসের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাউন্ড। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বৃদ্ধির গতি তুলনামূলক স্থিতিশীল স্তরে পৌঁছতে পারে। বিপরীতে যুক্তরাজ্যে সুদের হার বাড়তে থাকলে, বিনিয়োগকারীদের কাছে পাউন্ড আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। কারণ এ অবস্থায় মুদ্রাটি বিনিয়োগের ওপর উচ্চতর রিটার্ন প্রদান করে। ফলস্বরূপ, মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্টার্লিংয়ের বর্ধিত চাহিদা মুদ্রাটির বিনিময় হার আরো বাড়াতে পারে।
চলতি সপ্তাহে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ, এটি ডিসেম্বরের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ইউরোর বিপরীতে বেড়েছে প্রায় ১ দশমিক ১ শতাংশ, যা চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক বৃদ্ধি।
এদিকে বৃহস্পতিবার ঋণসীমা বিল পাস করেছে মার্কিন সিনেট। যার মাধ্যমে মার্কিন নীতিনির্ধারকরা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণসীমা উঠিয়ে দেয়ার পদক্ষেপ চূড়ান্ত করেছেন। মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঋণ পরিশোধের জন্য অর্থ বিভাগের তহবিল শেষ হয়ে যাওয়ায় ৫ জুনের আগে এ বিলে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল।
ঋণ গ্রহণের সীমা স্থগিত করে, ওয়াশিংটনের আইন প্রণেতারা বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকির সম্ভাব্য উৎসকে কার্যকরভাবে কমিয়ে দিয়েছেন। পদক্ষেপটি বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে যে মার্কিন সরকার ঋণ নেওয়া চালিয়ে যেতে এবং তার আর্থিক বাধ্যবাধকতাগুলো কোনও বাঁধা ছাড়াই পূরণ করতে সক্ষম হবে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজিকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মার্কিন ডলার থেকে অন্য মুদ্রা বা বিনিয়োগের সুযোগের দিকে পুনঃনির্ধারণে আরও আত্মবিশ্বাসী বোধ করেন। যা ডলারের চাহিদা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে এর মূল্যকে দুর্বল করে দেয়।
তাছাড়া যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি একরোখা উচ্চস্তরে রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীরাও ব্রিটেনের মুদ্রানীতির বিষয়গুলোকে পুনর্মূল্যায়ন করেছেন।
এম.কে
০৪ জুন ২০২৩