স্যার টনি ব্লেয়ার এবং লর্ড হেগ বলেন, “প্রযুক্তিগত বিপ্লবের” অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের সবার ডিজিটাল আইডি পাওয়া উচিত। এটা প্রত্যেকের পরিচয়পত্র হিসাবেও কাজ করবে। প্রাক্তন লেবার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন আইডি কার্ড প্রকল্প চালু করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পরবর্তী সরকার সেটা বাতিল করে দেয়।
পরিচয়পত্রের বিরোধীরা ডিজিটাল আইডি কার্ডকে নাগরিক স্বাধীনতা বিরোধী বলে আখ্যা দেয়। যেখানে ভ্যাকসিন স্ট্যাটাস থেকে শুরু করে বিমানের টিকিট এবং ব্যাংকিয়ের বিশদ বিবরণসহ সবকিছুই ব্যক্তিগত তথ্য হিসাবে লিপিবদ্ধ আছে সেখানে আবার ডিজিটাল আইডি কার্ডের প্রচলন কোনো অবস্থাতেই জরুরি নয়।
ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্সেই একজন নাগরিকের অনেক তথ্য লিপিবদ্ধ রয়েছে।
বিগ ব্রাদার ওয়াচ-এর পরিচালক সিল্কি কার্লো বলেছেন, ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রণয়ন ইউকেতে নাগরিকদের গোপনীয়তার উপর সবচেয়ে বড় আক্রমণের একটি হবে। অনলাইন নিরাপত্তা বিল তৈরির পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে বড় প্রযুক্তি এবং অনলাইন আচরণ নিয়ন্ত্রণ করার জটিলতর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক সময় বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। বিমানবন্দরে ই-গেটগুলি ব্যর্থ হলে বিশাল সংকট সৃষ্টি হতে পারে কিংবা অপ্রত্যাশিতভাবে ডেটা লঙ্ঘনের জন্য বড় আকারের পরিচয় চুরির ঘটনা ঘটতে পারে। সাইবার নিরাপত্তা জগতে একটি কথা আছে, হ্যাক না হওয়া পর্যন্ত কোনকিছুই হ্যাক করা যায় না। যদি আপনার পরিচয় একবার হ্যাক করা হয় তবে সেটি ফিরে পাওয়া খুব কঠিনও হতে পারে।
বিবিসি রেডিও ফোর টুডে প্রোগ্রামের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে লর্ড হেগ প্রযুক্তির চারপাশে রাষ্ট্রকে নতুনভাবে ডিজাইন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, অন্যান্য দেশগুলি ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মানব সভ্যতার ইতিহাসে উদ্ভাবনের দ্রুততম সময়ে আছি, যুক্তরাজ্যকে এই সময়ে বিশ্বের অন্যতম নেতা হতে হবে।
এম.কে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩