চরম তাপদাহ ও বন্যার কারণে ইংল্যান্ডের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের “হারানো পাঠ” আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে নতুন এক গবেষণা। এতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে ক্লাসরুম অতি গরম হয়ে ওঠায় বছরে গড়ে ১২ দিন পর্যন্ত শিক্ষার ক্ষতি হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে যদি স্কুলভবনগুলোর পর্যাপ্ত অভিযোজন না করা হয়, তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিক্ষার্থীদের শেখার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে। এমনকি চরম তাপমাত্রা ছাড়াও গড় উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে শিক্ষার্থীদের শেখার সক্ষমতা হ্রাস পাবে।
এছাড়া প্রতিবছর এক-ত্রিশ ভাগ সম্ভাবনায় বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে এক-তৃতীয়াংশ মাধ্যমিক এবং এক-পঞ্চমাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই ঝুঁকি বাড়ছে নদী, সমুদ্র ও পৃষ্ঠজলের কারণে।
ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব হেড টিচার্স-এর প্রধান পল হোয়াইটম্যান বলেন, “গরমে বা ঠান্ডায় শিশুদের কষ্টে পড়া, কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষা গ্রহণ শুধু স্বাস্থ্য হুমকি নয়, বরং শিক্ষার মানকেও নষ্ট করছে।”
ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের প্রধান ড্যানিয়েল কেবেডে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাস্তবতা। স্কুলগুলোর স্থিতিশীলতা না বাড়ালে শিক্ষার উপর চরম প্রভাব পড়বে।”
যুক্তরাজ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই ৪.৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে “রেজিলিয়েন্ট স্কুলস” নামক একটি পাইলট প্রকল্প চালু করেছে। এর পাশাপাশি আগামী দশকে ২০ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে ৭৫০টির বেশি স্কুল পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে তারা জলবায়ু-সহনশীল ও কার্বন নিট-শূন্য হতে পারে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২০ জুন ২০২৫