ভারতে নতুন এক খবরে দেশের ভিতরে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে এবং ধাক্কা খেয়েছে পুরো জাতি। গবেষণাগারে করা পরীক্ষার প্রতিবেদন নিশ্চিত করেছে তিরুপতি মন্দিরে বিখ্যাত লাড্ডু তৈরিতে গরুর মাংসের চর্বি ও শূকরের চর্বি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
কর্ণাটক মিল্ক ফেডারেশন জানিয়েছে গত চার বছরে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্তানামস (টিটিডি) বোর্ড তাদের কাছ থেকে ঘি কিনে নিতো।
এই খবর নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। তাই এই লাড্ডু বিতর্ক গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। তার অভিযোগ, প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। অগণিত ভক্ত যারা এই প্রসাদকে পবিত্র আশীর্বাদ হিসাবে মনে করেন, তারা মানসিক ভাবে আহত হয়েছেন। আবেদনকারী জানিয়েছেন, লাড্ডু বিতর্ক মন্দির প্রশাসনের গাফিলতি। হিন্দু ধর্মের পবিত্র রক্ষার্থে পদক্ষেপ করা উচিত।
লাড্ডু বিতর্কের সূত্রপাত অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর একটি দাবিকে কেন্দ্র করে। তিনি গুজরাটের সরকারি এক ল্যাবের একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনেন। রিপোর্টটি জুলাই মাসের। সেই রিপোর্টকে সামনে রেখে চন্দ্রবাবু দাবি করেন, তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডুতে ব্যবহৃত ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হয়েছে পশুর চর্বি। এই ঘটনায় জন্য চন্দ্রবাবু এবং এবং তার ডেপুটি জনসেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণ দায়ী করেছেন তাদের পূর্ববর্তী জগন্মোহন রেড্ডির সরকারকে।
বুধবার চন্দ্রবাবুর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল শুরু হয়। ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জয় বান্দির দাবি, এ ভাবে মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চন্দ্রবাবুর কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা।
তিরুপতি শহরের বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয় বিশেষ ‘শ্রীভরি লাড্ডু’। প্রতি দিন বিশ্বের নানা প্রান্তে ভক্তদের কাছে তা পাঠানোর ব্যবস্থাও করে থাকেন তিরুপতি মন্দিরের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম’ (টিটিডি) কর্তৃপক্ষ।
সূত্রঃ আনন্দবাজার
এম.কে
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪