বন্যার্তদের সহায়তায় তোলা ত্রাণ ও টাকা কোথায় এবং কীভাবে রাখা হয়েছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “গত ৪ সেপ্টেম্বরের প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আমাদের টিএসসির ত্রাণ কর্মসূচির আয় ও ব্যয়ের হিসাব জানানো হয়েছিল। ব্যয় বাদে বাকি টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক শাখা, ইসলামি ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সংরক্ষিত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন নারী শিক্ষার্থী ও একজন ছাত্রের নামে বিশেষভাবে একাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে শুধু এই তিনজনের সম্মিলিত সিগনেচারের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর করা সম্ভব। এখন পর্যন্ত ওই একাউন্ট থেকে কোনো টাকা হস্তান্তর করা হয়নি।”
তিনি আরও লেখেন, “স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ত্রাণ কার্যক্রমের আয় ও ব্যয়ের ওপর একটি অডিট করছি এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা সবসময় গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণে আগ্রহী। কোনো বিশেষ ভুলবুঝাবুঝি থাকলে অনুগ্রহ করে তা নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরুন, যাতে আমাদের কাজ আরও কার্যকরী হতে পারে। আগামীর বাংলাদেশ হোক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মডেল।”
বিবিসি বাংলাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বলেন,
বন্যার্তদের সহযোগিতার উদ্দেশ্যে গঠিত ত্রাণ তহবিলের যে নয় কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখা হয়েছে, সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
“ চাইলেও সেগুলো কেউ আত্মসাৎ করতে পারবে না।” বিবিসি বাংলাকে বলেন প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এছাড়া অর্থের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
“আমরা ত্রাণ কার্যক্রমের আয় ও ব্যয়ের উপর একটি অডিট করছি এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. আব্দুল্লাহ।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
এম.কে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪