TV3 BANGLA
মধ্যপ্রাচ্যশীর্ষ খবর

দুবাইতে বিশ্বের বৃহত্তম ‘সুপার কার গ্রেভইয়ার্ড’

দুবাইতে প্রতি বছর প্রায় ৩ হাজার ল্যাম্বরগিনি এবং অ্যাস্টন মার্টিনের মতো দামি দামি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। রোলস রয়েস ও ফেরারি থেকে শুরু করে বেন্টলি এবং মার্সিডিজের মিলিয়ন পাউন্ডমূল্যের হাজার হাজার গাড়িদিনের পর দিন ফেলে রাখা হয় শহরের কাছেই মরুভূমির বুকে গড়ে ওঠা একটি স্ক্র্যাপইয়ার্ডে। আর এই স্থানটিকে বলা হয়, “বিশ্বের বৃহত্তম সুপার কার গ্রেভইয়ার্ড”।

 

ধারণা করা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কঠোর ঋণনীতি ও শাস্তি থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালানো ব্যবসায়ীরা অনেক গাড়ি এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। তাছাড়া সেখানকার ধনী নাগরিকরাও নতুন গাড়ি কেনার পর অলসতার কারণে পুরনো গাড়ি বিক্রি না করে স্ক্র্যাপইয়ার্ডে এভাবে ফেলে রাখেন।

 

মরুভূমির প্রখোর রোদে দিনের পর দিন ফেলে রাখার কারণে এসব গাড়ির রঙ বিবর্ণ হয়ে যায় এবং মরিচা ধরে যায়।

 

কোনো গাড়ি জব্দ করা হলে জরিমানা দিয়ে সেই গাড়ি উদ্ধারের জন্য ছয় মাসের মতো সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু একবার এই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে বিলাশবহুল গাড়িগুলো নামমাত্র মূল্যে নিলামে তোলা হয়।

 

দুবাইয়ের রাস্তায় চলাচল করা গাড়িগুলোর সাথে সামঞ্জ্যসতা রক্ষার্থে কিছু গাড়িকে পুলিশের ব্যবহারের জন্য রূপান্তর করে কর্তৃপক্ষ। অনেকসময় বেকার লোকদের বেতন ও কমিশন দেওয়া হয় পরিত্যাক্ত সুপার কার খুঁজে বের করার জন্য।

 

দশ বছর আগে তথাকথিত সুপারকার গ্রেভইয়ার্ডটিতে সবচেয়ে বেশি গাড়ি দেখা গিয়েছিল। তখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেক মালিক খরচ চালাতে না পেরে অনেক গাড়ি ফেলে দিয়েছিলেন।

 

একই সময়ে কঠোর আইনের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ অনেক ব্যবসায়ী বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের সম্মুখীন হয়েছিলেন। শাস্তি থেকে বাঁচতে এদের অনেকে তাদের বিলাশবহুল গাড়িটি ফেলে দেশ ছাড়েন। অনেকের গাড়ি বিমানবন্দরের পার্কিংয়ে পরে ছিল।

 

তবে মজার ব্যপার হলো, কর্তৃপক্ষ অনেক সময় ভুলবশত পরিত্যক্ত ভেবে কিছু গাড়ি জব্দ করে যা কিনা কেবলই দেখতে পুরনো বা বালিঝড়ের কারণে ধূলায় ঢেকে ছিল।

 

৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
এনএইচ

আরো পড়ুন

ইউরোপ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উপর বিদ্বেষমূলক আচরণের নিন্দা করলেন পোপ

অনলাইন ডেস্ক

মালদ্বীপে কন্টেইনারে আটকে বাংলাদেশির মৃত্যু

Legal advice by M Salim | 22 February

অনলাইন ডেস্ক