যুক্তরাজ্যের রাজনীতি টালমাটাল হয়ে পড়েছে অভিবাসন নীতির কারণে। সরকার অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে জানা যায়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে লেবার নেতা ও বর্তমান কনজারভেটিভ সরকারের প্রধানমন্ত্রী একে অন্যকে দোষারোপ করে করা মন্তব্য হতে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, লেবার নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার সরকারের রুয়ান্ডা পলিসি নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে কনজারভেটিভ সরকারের ইমিগ্রেশন পলিসি নিয়ে সমালোচনা করেন। স্টারমারের মতে রুয়ান্ডা পলিসি একটি “ছদ্মবেশী” পরিকল্পনা যা কাজ করছে না।
তিনি আরও যোগ করেন, “একমাত্র ব্যক্তি যিনি রুয়ান্ডায় চলে যেতে পারেন তিনি হলেন বর্তমান সরকারের হোম সেক্রেটারি।”
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক লেবার দলের সমালোচনা করে দাবি করেন, স্যার কেয়ার স্টারমার হলেন সরকারের অভিবাসন পরিকল্পনা ব্যাহত করার জন্য একজন কট্টর লোক।
লেবার নেতা স্যার কেয়ারকে নিজের কথাবার্তায় লাগাম দেওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন সমালোচনা সবাই করতে পারে কিন্তু সমস্যা অবসান করতে কাজ করতে পারে না সবাই। ইমিগ্রেশন সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে কনজারভেটিভ সরকার। কিন্তু লেবার নেতা শুধু কথার তীর ছুঁড়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, এরপূর্বে স্যার কেয়ার জাতীয়তা ও বর্ডারস অ্যাক্ট ২০২২ এর সমালোচনা করেছিলেন বলেও জানা যায়। যা সরকারের চ্যানেল ক্রসিংগুলি রোধ করার লক্ষ্যে সর্বশেষ আইন বলে জানা যায়। তাছাড়া আদালতের হস্তক্ষেপে রুয়ান্ডা পলিসিও সফলতার মুখ দেখেনি বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
এম.কে
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩