2.2 C
London
November 21, 2024
TV3 BANGLA
বাকি বিশ্ব

পরিচারকদের বেতনের থেকে পোষ্য কুকুরের পেছনে বেশি খরচ করে হিন্দুজা পরিবার

ব্রিটেনের অন্যতম ধনকুবের হিন্দুজা পরিবার তাদের একজন পরিচারকের বেতনে যত ব্যয় করে, তার থেকে অনেক বেশি খরচ করে তাদের পোষ্য কুকুরের জন্য। গৃহকর্মের জন্য নিযুক্ত কর্মচারী পাচার ও তাদের শোষণের অভিযোগে চলা একটি মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সুইস আদালতে এই তথ্য তুলে ধরেন। আদালতে, প্রসিকিউটর ইভেস বার্তোসা বলেছেন, ‘হিন্দুজা দম্পতি তাদের একজন পরিচারকের চেয়ে একটি কুকুরের জন্য বেশি খরচ করেছে। একজন নারী পরিচারিকাকে মাত্র ৬.১৯ পাউন্ড বেতন দেওয়া হয়। সপ্তাহে সাতদিন দিনে ১৮ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয় নারী পরিচারিকাকে’।

আইনজীবীর আরও দাবি, কর্মচারীদের চুক্তিতে কাজের ঘণ্টা এবং ছুটির দিন উল্লেখ থাকে না। পরিচারক-পরিচারিকাদের পাসপোর্ট পরিবারের জিম্মায় রেখে দেওয়া হয়। ফলে কাজ ছেড়ে তাদের চলে যাওয়ারও উপায় থাকে না। এমনকি তাদের বেতনের সুইস ফ্রাঁ ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে সেখানে হাতখরচ বা অন্য কোনও কারণে খরচ করার মতো অর্থ হাতে থাকে না তাদের।

পরিচারকরা তাদের নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া বাড়ি ছেড়ে যেতে পারে না এবং তাদের কোনো স্বাধীনতা নেই । প্রসিকিউটররা অজয় ​​হিন্দুজা এবং তার স্ত্রী নম্রতার জন্য কারাদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন এবং পরিবারকে আদালতে ব্যয়-জরিমানা হিসাবে ১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক এবং কর্মীদের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩.৫ মিলিয়ন ফ্রাঙ্ক প্রদানের দাবি করেছেন। যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে হিন্দুজা পরিবারের আইনজীবীরা বলেন, পরিচারকদের সঙ্গে সম্মানপূর্বক ব্যবহার করা হয়। বেতন প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য, ওটা ওভাবে হিসাব করলে চলবে না। কারণ সব পরিচারকই বোর্ডিং এবং লজিংয়ের অর্থাৎ থাকা-খাওয়ার খরচসহ থাকেন। ফলে মোট খরচের পরিমাণটা অনেক বেশি।

আঠারো ঘণ্টা কর্মদিবসও একটি অতিরঞ্জন তথ্য হিসেবে দাবি করে হিন্দুজা পরিবারের আইনজীবীরা বলেন, ‘যখন তারা বাচ্চাদের সাথে সিনেমা দেখতে বসেন, তখন এটি কি কাজ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে?’

হিন্দুজার আইনজীবীদের আরো দাবি, ‘গরিবকে কম দরিদ্র করার জন্য ধনীকে ভাঙিয়ে নেবার ধারণাটি আকর্ষণীয় তবে এ ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে তা অবশ্যই বিচারিক হতে হবে।’

সূত্রঃ হিন্দুস্থান টাইমস

এম.কে
১৮ জুন ২০২৪

আরো পড়ুন

উইঘুর মুসলিমদের ইতিহাস মুছে ফেলছে চীন, বদলে দিলো গ্রামের নাম

যুক্তরাজ্যের কারাগার হতে কারামুক্ত হলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

উহানের ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়ানোর প্রমাণ পায়নি ডব্লিউএইচও