বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মুখে পুরানো পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সংস্কারের প্রস্তুতি নিচ্ছে সুইজারল্যান্ড। পুরানো কাঠামোর সংস্কারে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্রের দিক দিয়ে সুইজারল্যান্ড জার্মানির মতো প্রতিবেশী দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। বিদেশি ও শরণার্থীসহ নিজেদের ৯০ লাখ বাসিন্দার প্রত্যেককে বোমা ও পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা থেকে রক্ষা করার জন্য জায়গা নিশ্চিত করেছে তারা।
সিভিল প্রোটেকশন কমান্ডার লুই-হেনরি ডেলারাগেজ রয়টার্সকে বলেন, আগামী বছরগুলোতে সুইস কনফেডারেশন কিছু ব্যতিক্রম (আশ্রয়কেন্দ্র) করতে চায় এবং কিছু পুরানো আশ্রয়কেন্দ্র সংস্কার করতে চায়।
দেশটি বলছে, এর অর্থ এই নয় যে, আমরা সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, এটি এমন বার্তা নয়। আমাদের আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে এবং আমাদের এগুলো বজায় রাখতে হবে। এগুলো কার্যকর রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।
১৮১৫ সালে ‘নিরপেক্ষ’ নীতি গ্রহণের পর থেকে সুইজারল্যান্ড বৈদেশিক যুদ্ধ থেকে দূরে রয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রান্স দেশটি দখল করে নিয়েছিল। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কিছু বিমান বোমা হামলা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে উদ্বিগ্ন বাসিন্দাদের কাছ থেকে ফোন আসছে। লোকেরা জানতে চেয়েছিল আশ্রয়কেন্দ্রগুলো কোথায় আছে, তাদের জায়গা কোথায়, জনগণের আশ্রয়ের জন্য বাঙ্কার প্রস্তুত কি না।
যদিও বেশিরভাগ সুইসদের ব্যক্তিগত আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। তবে কিছু লোক বাঙ্কারের উপর নির্ভর করে।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪