23.1 C
London
July 26, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ফ্রান্সের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন ইউরোপীয় নেতারা

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ এটিকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি অর্জনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

এরপর এক্স-পোস্টে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর ঘোষণাকে আমি স্বাগত জানাই।’

তিনি বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান, যা ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয়ের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার একমাত্র স্থায়ী ভিত্তি প্রদান করে।’

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও মাক্রোঁর ঘোষণাকে সমর্থন করে এক্স-পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি স্বাগত জানাই যে, স্পেন এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ দিয়েছে। নেতানিয়াহু যা ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন, তা একসঙ্গে আমাদের রক্ষা করতে হবে। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র সমাধান।’

স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার জন সুইনি যুক্তরাজ্য সরকারকে ফ্রান্সের উদাহরণ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যের উচিত আজ রাতেই ফ্রান্সের উদাহরণ অনুসরণ করা এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া। শান্তির জন্য এটি অপরিহার্য। যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা এখনই শুরু করা উচিত।’

স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানজা ফাজন ম্যাক্রোঁর সিদ্ধান্তকে ‘শান্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

চেক প্রজাতন্ত্রও ম্যাক্রোঁর ঘোষণার প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সমর্থনে তাদের দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। জাপান সফরের সময় চেক প্রেসিডেন্ট পেত্র পাভেল এই অবস্থানের প্রতিধ্বনি করেছেন।

ইউরোপের অনেক অংশে ফ্রান্সের পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পেলেও অনেকেই এ বিষয়ে ‘নীরব’। জার্মানি বলেছে, ‘স্বল্পমেয়াদে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা’ তাদের নেই।

সরকারের মুখপাত্র স্টেফান কর্নেলিয়াস বলেছেন, বার্লিন স্বীকৃতিকে শান্তি প্রক্রিয়ার ‘চূড়ান্ত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি” হিসাবে দেখে, তবে এটি আলোচনার মাধ্যমে হতে হবে।

ইতালিও ফ্রান্সের পদক্ষেপে যোগদান থেকে বিরত থাকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেছেন, ‘ইতালি দুই-জনগণ-দুই-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে, কিন্তু নতুন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অবশ্যই ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বীকৃতির সাথে সাথে হতে হবে।’

সূত্রঃ রয়টার্স

এম.কে
২৫ জুলাই ২০২৫

আরো পড়ুন

হোটেল খরচ কমাতে আসছে ‘বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন আইন’

অনলাইন ডেস্ক

হোম অফিস ই-ভিসার ‘গ্রেস পিরিয়ড’ ১ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বর্ধিত করেছে

প্যানডেমিক যুগের সবচেয়ে কঠোর লকডাউন যুক্তরাজ্যে!

অনলাইন ডেস্ক