সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারে যে কোনো ধরনের লঙ্ঘন সৌদি আরব স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বহুল সমালোচিত পরিকল্পনার মোকাবেলায় কায়রোতে আরব লীগের এক বিশেষ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে ইসরায়েলি বসতি প্রত্যাখ্যান এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার বিরুদ্ধে কথা বলেন প্রিন্স ফয়সাল।
তিনি বলেন, আমরা গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার জন্য আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি এবং জাতিসংঘের প্রস্তাবের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছি। সৌদি আরব দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে।
তিনি আরও বলেন, গাজার জনগণ ওই অঞ্চলে থাকা অবস্থায় সেখানে পুনর্গঠন করতে হবে। নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপকে সৌদি আরব সমর্থন করে। গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণ যে অভূতপূর্ব দুর্ভোগের শিকার হয়েছে তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই অঞ্চলে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে, এটি পুনর্নির্মাণ করতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে ভূখণ্ডের বাস্তবতা পরিবর্তনের চেষ্টা না করে তাদের ভূমিতে মর্যাদার সাথে বসবাস করতে সক্ষম করার জন্য একসাথে কাজ করা দরকার।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি যে এই শীর্ষ সম্মেলন এই যুদ্ধের বিপর্যয়কর প্রতিক্রিয়ার অবসান ঘটাতে, ফিলিস্তিনে নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে এবং একটি নতুন বাস্তবতা তৈরি করতে বাস্তব ফলাফল অর্জনে অবদান রাখবে। যা এই অঞ্চলটি নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি আনবে।
শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত চূড়ান্ত বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ও শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ এবং ত্রাণ কাজে ব্যবহৃত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ইসরায়েলি প্রচেষ্টার নিন্দা করা হয়।
এ সময় ফিলিস্তিন ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে গাজার ব্যাপারে মিশরের পেশ করা পরিকল্পনাটি পূর্ণভাবে গ্রহণ করা হয়।
এম.কে
০৬ মার্চ ২০২৫