মিরর ১৮ এপ্রিল বরিস জনসনের ভয়ঙ্কর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা ১০০০ দিনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মিথ্যা, কেলেঙ্কারি এবং ব্যর্থতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৫০টির উপর একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছে। সে বিষয়ে কলাম লিখেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট এলেস্টেয়ার ক্যাম্পবেল।
তিনি তার লেখায় বলেন, বরিস জনসন যেভাবে ইউক্রেনের যুদ্ধকে তার বিরুদ্ধে একধরনের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন সেটা আইন ভঙ্গ করার জন্য। সংসদ এবং জনসাধারণের কাছে মিথ্যা বলা তার পদত্যাগের জন্য যথেষ্ট।
তিনি আরো বলেন, ‘তাকে একটি একক বিবৃতিতে দুটি বিষয়- ইউক্রেন এবং তার নিজের কোভিড আইনের লঙ্ঘন, একত্রিত করার অনুমতি দেওয়া উচিৎ হয়নি। কোভিড আইন যে সতর্কতার মধ্যে পাশ করা হয়েছিল তার লঙ্ঘন জীবন ও মৃত্যুর বিষয়। তিনি আবারও দেখিয়েছেন যে নিয়ম যাই হোক না কেন, স্বাভাবিকতা যাই হোক না কেন, তিনি ভিন্ন কিছু করবেন।
তার রক্ষকরা যুক্তি দেন যে তার পদত্যাগ সরকারের জন্য অস্থিতিশীল হবে এবং ভ্লাদিমির পুতিন এটি উদযাপন করবেন। এদিকে জনসন ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পুতিন প্রতিদিনই উদযাপন করেছেন। তিনি ব্রেক্সিট উদযাপন করেছেন। তিনি একটি দুর্বল ব্রিটেন চান এবং জনসন তা সরবরাহ করছেন।’
এলেস্টেয়ার ক্যাম্পবেলের মতে, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং এতে ব্রিটেনের প্রতিক্রিয়া, জনসনের প্রস্থানের পরেও অপরিবর্তিত থাকবে। ব্রিটেনের বৈশ্বিক খ্যাতি এবং জাতীয় জীবন, উভয়ই তার থাকার কারণে আরও খারাপের দিকে ধাবিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্র, সংসদ সদস্যদের অতীত এবং বর্তমান যাই হোক না কেন, বিশ্বের দৃষ্টিতে আমাদের শক্তির একটি বড় অংশ। সংসদকে বিভ্রান্ত করলে মন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে হবে’।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের একজন মিথ্যাবাদী ও আইন ভঙ্গকারী আছে। মানহানির বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে যে কোনও আইনজীবী ছাড়াই যে কোনও সংবাদপত্রে বলা যেতে পারে তা। এটা একটা বাস্তবতা এবং দেখে মনে হবে টোরি এমপিরা সেই সত্যটি নিয়ে বেঁচে থাকতে পেরে খুশি। চ্যান্সেলরের সাথে বসবাস করতে পেরে খুশি। ‘আমি কোনো পার্টিতে যোগ দিইনি’ বলা ব্যক্তি একজন মিথ্যাবাদী এবং আইন ভঙ্গকারী।
দেখে ভালো লাগছে আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ন করা, মন্ত্রিপরিষদের কোড তুচ্ছ করা একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন।’
২০ এপ্রিল ২০২২
এনএইচ