TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিকশীর্ষ খবর

বাচ্চাদের ক্ষতি করছে সোশ্যাল মিডিয়া, ক্ষমা চাইলেন জুকারবার্গ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে মার্কিন সিনেটরদের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মার্ক জুকারবার্গ-সহ অন্যরা। বুধবার মার্কিন সিনেটে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ার পর ফেসবুকের এই প্রতিষ্ঠাতা সেই সব বাবা-মা ও পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, ফেসবুক ও অন্য সমাজিক মাধ্য়মে আসক্তির জন্য যাদের সন্তানদের ক্ষতি হয়েছে।

একজন সিনেটর সরসরি অভিযোগ করেন, জুকারবার্গরা এমন একটি প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছেন, যা মানুষের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে।

শুনানির সময় জুকারবার্গ ওই সন্তানদের অভিভাবকদের বলেছেন, ‘আপনাদের যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্যদের না হয়।’

সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটি এই হাইটেক কর্তাদের ডেকেছিল এবং তাদের কঠিন প্রশ্ন করে। এর নাম দেওয়া হয়েছিল, বিগ টেক এণ্ড অনলাইন চাইল্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন ক্রাইসিস। জুকারবার্গ ছাড়াও টিকটকের সিইও শাও জি চিউ, স্যাপচ্যাটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পিগেল, ডিসকর্ড সিইও জেসন সিট্রঁ এবং এক্স-এর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রধানও ছিলেন।

সিনেটর ডিক ডুবিন ছিলেন এই কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, ‘এই কোম্পানিগুলো যে প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে, তা প্রচুর বাচ্চার কাছে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোম্পানিগুলো সুরক্ষার পেছনে যথেষ্ট অর্থ খরচ করেনি, প্রাথমিক সুরক্ষার থেকে লাভকেই বড় করে দেখেছে। এর ফলে বাচ্চারা বিপদের মধ্যে পড়েছে।’

সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ‘জুকারবার্গ, আপনি ও আপনার কোম্পানিগুলোর কাজ আমাদের সামনে আছে। আমি জানি, আপনি কখনোই এরকম পরিস্থিতি চাইবেন না, তা সত্ত্বেও আপনার হাতে রক্ত লেগে আছে। আপনার প্রোডাক্ট মানুষকে মারছে।’

জুকারবার্গ সিনেটরদের বলেন, ‘ইন্টারনেট শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের নিরাপদে রাখাটা প্রথম থেকে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অপরাধীরা তাদের কৌশল বদলেছে। আমাদেরও প্রোডাক্টের সুরক্ষা বদলাতে হয়েছে।’

তিনি স্বীকার করেন, ‘সমীক্ষায় দেখা গেছে, সামাজিক মাধ্যম বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ।’

মেটাও জানিয়েছে, ‘তাদের ৪০ হাজার কর্মী অনলাইন সুরক্ষার বিষয়টা নিয়ে কাজ করছেন। ২০১৬ সালে থেকে তারা দুই হাজার কোটি ডলার এর জন্য খরচ করেছে।’

মেটার কাছেই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিকানা আছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিশোর ও সদ্য যুকদের কাছে অচেনা জায়গা থেকে কোনও বার্তা পাঠানো হলে, তা ব্লক করা হবে।

এছাড়া ইনস্টা ও ফেসবুকে কিশোরদের কনটেন্টের উপর আরও কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এম.কে
০১ জানুয়ারি ২০২৪

আরো পড়ুন

Barrister MQ Hassan Show 🔹 September 13

Electoral Register – নির্বাচনী রেজিস্টার

যুক্তরাজ্যের পূর্ব ইংল্যান্ডে অতিবৃষ্টি ও বন্যার সম্ভাবনা