আর মাত্র দু’বছর ক্রমবর্ধমান হারে অভিবাসী গ্রহণ করবে কানাডা। তারপরেই বন্ধ হয়ে যাবে বেশি বেশি অভিবাসী নেওয়ার প্রবণতা। দেশটিতে চলমান মূল্যস্ফীতি এবং আবাসন সংকট নিয়ন্ত্রণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডীয় সরকার।
চলতি বছর ৪ লাখ ৬৫ হাজার নতুন অভিবাসীকে ভিসা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে কানাডা। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৮৫ হাজার এবং ২০২৫ সালে পাঁচ লাখের মাইলফলক স্পর্শ করতে চায় উত্তর আমেরিকান দেশটি।
কানাডীয় অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মতো ২০২৬ সালেও পাঁচ লাখ অভিবাসীর লক্ষ্যমাত্রা বজায় রাখতে চায় অটোয়া।
তিনি বলেন, এ অভিবাসন মাত্রাগুলো কানাডার অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি নির্ধারণে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, দেশটির অবকাঠামো ও আবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে এর প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণও করবে।
রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডা বলেছে, আবাসন খাতের চ্যালেঞ্জ এবং জনসাধারণের সমর্থন কমে যাওয়া বিবেচনায় লক্ষ্যযুক্ত অভিবাসন মাত্রায় বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত যথাযথ। কানাডার মূলত দীর্ঘমেয়াদী অভিবাসীদের প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, প্রতি বছর জনসংখ্যার ১ দশমিক ৩ শতাংশ নতুন অভিবাসী গ্রহণ কানাডীয় জনগোষ্ঠীর বয়স কাঠামোকে স্থিতিশীল করার জন্য যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রায় ২ দশমিক ১ শতাংশ অভিবাসন প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডার জনসংখ্যা বেড়েছে মূলত অভিবাসনের মাধ্যমে। এটি দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও সহায়তা করছে।
তবে কিছু অর্থনীতিবিদ দেশটির আবাসন সংকট আরও তীব্র হওয়ার জন্য সরকারের অভিবাসন নীতিকে দায়ী করেছেন। যদিও বহু অভিবাসী নির্মাণ শিল্পে কাজ করেন, যে খাতটি ব্যাপক শ্রমিক ঘাটতিতে রয়েছে।
এ কারণে ব্যাংক অব কানাডা বলেছে, দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বাড়া এবং কমা উভয় ক্ষেত্রেই অভিবাসনের ভূমিকা রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে কানাডায় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
সুত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
০৪ নভেম্বর ২০২৩