মার্টিন লুথারের আই হ্যাভ অ্যা ড্রিমের উক্তি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান। এজন্য প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাহলে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পূর্বাচলে গণসংবর্ধনাস্থলে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘৭১ এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ২০২৪ সালে তেমন সর্বস্তরের মানুষ, সবাই মিলে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে পাহাড়ের, সমতলের, মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, পুরুষ, শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে, যেন নিরাপদে ফিরতে পারে।’
কয়েকদিন আগে ওসমান শহীদ হয়েছে বলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদি চেয়েছিলেন এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ৭১ এ যারা শহীদ হয়েছে, ২৪ এ যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’
তরুণ প্রজন্মই আগামীতে দেশ গড়ে তুলবে বলেন তিনি। গণতান্ত্রিক, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দেশকে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি। তিনি পরপর তিনবার বলেন আমরা দেশের শান্তি চাই।
রাজধানীর পূর্বাচলে গণসংবর্ধনাস্থলে লালসবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান তারেক রহমান।
বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে তারেক রহমানমঞ্চে ওঠেন। বেলা ৩টা ৫৭ মিনিটে তিনি বক্তব্য শুরু করেন। শুরুতেই বলেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশ।’ তার সঙ্গে বিএনপির নেতারা রয়েছেন। মঞ্চে উঠে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তারেক রহমান।
মঞ্চে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এম.কে

