16.4 C
London
September 19, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

বিতর্কিত অভিবাসননীতি বাতিল হলেও টাকা ফেরত দিবে না রুয়ান্ডা

যুক্তরাজ্যের সাথে রুয়ান্ডার অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন তথ্য জানিয়েছে কিগালি। রুয়ান্ডা জানায় নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন রুয়ান্ডানীতি বাতিল করবেন। কিন্তু রুয়ান্ডানীতি বাতিল হলেও কিগালি সরকার নির্বাসন চুক্তির শর্তানুযায়ী প্রাপ্ত ৩০০ মিলিয়ন ডলার আর ফেরত প্রদান করবে না।

নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ২০২৪ সালে ডাউনিং স্ট্রিটে তার প্রথম মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পরে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। যেখানে তিনি রুয়ান্ডার সাথে চুক্তিটি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

রুয়ান্ডা সরকার জানায়, ২০২২ সালে যুক্তরাজ্য সরকার ৩০০ মিলিয়ন ডলার রুয়ান্ডাকে প্রদান করেছিল। এর কারণ হিসাবে যুক্তরাজ্যের অবৈধ আশ্রয় প্রার্থীদেরকে পূর্ব আফ্রিকার দেশে প্রেরণ করা হবে বলে উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

মঙ্গলবার রুয়ান্ডার সরকারের একজন মুখপাত্র আলাইন মুকুরুরালিন্ডা বলেন, সদ্য নির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেছেন যে তিনি বিতর্কিত চুক্তিটি বাতিল করবেন। তবে যুক্তরাজ্যের সাথে রুয়ান্ডার অভিবাসী চুক্তিতে কোনও “ক্ষতিপূরণ সম্পর্কিত ধারা” অন্তর্ভুক্ত ছিল না। চুক্তির মধ্যে টাকা ফেরত প্রদানের বিষয়ে কোনও ধারা ছিল না।
আমাদের দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তিটি সাক্ষরিত হয়েছিল। উভয় পক্ষই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে পরিণত হয়েছে।

এই বছরের এপ্রিলে ব্রিটিশ সরকার প্রকাশিত একটি ফ্যাক্ট শিট অনুসারে যুক্তরাজ্য রুয়ান্ডাকে এই চুক্তির অংশ হিসাবে ২৪০ মিলিয়ন পাউন্ড বা প্রায় ৩০৭ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে।

শনিবার কেয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রেখে বলেন, তিনি আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডার পাঠানোর মতো বিতর্কিত চুক্তি “চালিয়ে যেতে প্রস্তুত নন”। এই স্কিমটিকে হাস্যকর, চটকদার ও মনভোলানো বলে অভিহিত করেন তিনি। এই বিলটি কখনও অবৈধ অভিবাসী প্রতিরোধক নয় বলেও তিনি জানান।

বিতর্কিত পরিকল্পনাটি ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অধীনে রক্ষণশীল সরকার কর্তৃক প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে আইনজীবি ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে রাজনৈতিক ও আইনী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল বারংবার।

এই বছরের এপ্রিলে বিলটি সংসদে পাস হওয়ার পরে, যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দাবি করেছিলেন এই পরিকল্পনাটি চালু করা হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ থেকে বিরত রাখার জন্য।

জাতিসংঘ কর্তৃকও এই বিলটির উপর নিন্দা প্রস্তাব করা হয় কারণ এই বিলে শরণার্থী সুরক্ষার দায়বদ্ধতা নেই বলে জানায় জাতিসংঘ।

উল্লেখ্য যে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের এই রুয়ান্ডানীতিকে যুক্তরাজ্যের জন্য একটি কালো দাগ বলে অভিহিত করে। বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সুরক্ষা বাঁধাগ্রস্ত করতে এই অভিবাসন নীতি ব্যবহার করার প্র‍য়াস ছিল যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ সরকারের বলে মত দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

সূত্রঃ সিএনএন

এম.কে
১১ জুলাই ২০২৪

আরো পড়ুন

পিআইপি দাবিদারদের ১৫ হাজার পাউন্ড পাওয়ার সম্ভাবনা

মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ কর‍তে চায় যুক্তরাজ্যের লেবার সরকার

আকস্মিক বন্যার কবলে লন্ডন, বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা

অনলাইন ডেস্ক