আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার নির্বাচনী বিতর্ক নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে রীতিমতো ‘চুল-চেরা’ বিশ্লেষণ। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই সরাসরি বিতর্কে ট্রাম্পকে পরাস্ত করতে বেশ আত্মবিশ্বাসী ও নির্ভার ছিলেন কমলা। বিভিন্ন ইস্যুতে কার্যত ট্রাম্পকে কোণঠাসা করে দিয়েছিলেন তিনি। এখন প্রশ্ন, এই পারফর্ম্যান্সের নেপথ্যে কানের দুলের আড়ালে ব্লুটুথ ইয়ারফোন পরেছিলেন কমলা বলে মতামত জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
নেটিজেনদের অনেকের দাবি, দেখে মনে হয়েছে মুক্তার কানের দুল। কিন্তু আদতে সেটি ছিল বিশেষ ইয়ারফোন। আমেরিকার নির্বাচনী বিতর্কের পর থেকে নেটদুনিয়ায় কমলা হ্যারিসের কানের দুলের ছবির ছড়াছড়ি। অনেকে অভিযোগ করছেন, কানের দুলের আড়ালে আসলে ইয়ারফোন গুঁজে বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। বিতর্কের সময় যুক্তির মাধ্যমে কমলা হ্যারিসের টিম তাকে সহায়তা করছিলেন। ইয়ারফোনে নির্দেশনা শুনে শুনে জবাব দিচ্ছিলেন হ্যারিস, এমন অভিযোগও তুলতে শুরু করেছেন কেউ কেউ।
প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে কেতাদুরস্ত হয়ে অংশ নিয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। বরাবরের মতো স্যুটের সঙ্গে মুক্তার কানের দুল পরেছিলেন তিনি। বিতর্কে তার প্রশ্ন–জবাব কিংবা বক্তব্যে আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠে। অনেকেই তাকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে রেখেছেন।
তবে বিতর্ক শেষ হওয়ার পরই আলোচনায় এসেছে কমলার কানের দুল। অনেকে বলছেন, কানের দুলটি নিছক কোনো গয়না নয়। বরং অত্যন্ত উন্নতমানের একটি ব্লুটুথ ইয়ারফোন। এই ইয়ারফোনের মাধ্যমে কোন প্রশ্নের উত্তরে কী বলতে হবে, সমস্ত ঘটনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং পরিসংখ্যান কমলাকে শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছিল তার টিমের পক্ষ থেকে।
নেটিজেনদের কেউ কেউ কমলার কানের দুলকে ‘নোভা এইচ১ অডিও ইয়ার রিং’ বলে দাবি করছেন। স্টেজে পারফর্ম করার সময়ে অনেকে এমন দুল পরেন যাতে যুক্ত থাকে বিশেষ ইয়ারফোন। কমলা হ্যারিসের মুক্তার দুলটি দেখেও অনেকের এমনটাই সন্দেহ হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কমলার কানের দুল সত্যিই কোনো ডিভাইস কি না এর স্বপক্ষে কোনো যৌক্তিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সূত্রঃ এক্স মিডিয়া
এম.কে
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪