24 C
London
July 14, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

বিধ্ব’স্ত রূপে দেখা মিলল টিউলিপ সিদ্দিকির

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকী এখন রাজনৈতিকভাবে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন। একসময় লেবার সরকারের মন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকলেও, বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তিনি চাপে পড়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন।

ঢাকায় শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হিসেবে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগে তার ও পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। পাশাপাশি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম নিয়েও তদন্ত চলছে।

৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিকী যুক্তরাজ্যে আর্থিক খাতের দুর্নীতি প্রতিরোধে দায়িত্বে ছিলেন। এখন সেই ভূমিকার সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ওঠা অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ যুক্ত হয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস যুক্তরাজ্যে সফরকালে টিউলিপ সাক্ষাতের জন্য চিঠি পাঠালেও, উপদেষ্টা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে টিউলিপ প্রকাশ্যে হতাশা জানান এবং বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালানো হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মন্ত্রিত্ব হারানো টিউলিপ এখন রাজনীতিতে নিজের অবস্থান ধরে রাখার লড়াইয়ে ব্যস্ত। তিনি লেবার পার্টির নেতৃত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। তবে ব্রিটেনে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে, লেবার সরকার নিজেরাই সংকটে আছে—এই পরিস্থিতিতে টিউলিপের জন্য নতুন করে জায়গা তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বাংলাদেশের দুর্নীতির তদন্তে যদি টিউলিপের বিরুদ্ধে আরও প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তার রাজনৈতিক জীবন আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক চাপে তার ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকার হয়ে পড়তে পারে।

এম.কে
১৪ জুলাই ২০২৫

আরো পড়ুন

৩০ জন অতিথি থাকবেন প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে

ব্রেক্সিটে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধের ঝুঁকিতে ব্রিটিশ গ্রাহকরা

অনলাইন ডেস্ক

জনগণের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক সহায়তা ফান্ডের ঘোষণা