বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর এখন সবচেয়ে বড় একটি কারণ হল হৃদযন্ত্র জনিত রোগ বা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) জানিয়েছে, ১৯৫০ সালে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৪৬ বছর। ২০১৫ সালের মধ্যে এটি বেড়ে ৭১ বছরে দাঁড়ায়।
এইচআইভি / এইডস এর কারণে আগের থেকে বর্তমানে মৃত্যুর হার কমেছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের মৃত্যুর হার বেড়েছে।
ডাব্লুএইচওর রিপোর্টে দেখা গেছে যে, ২০১৯ সালে বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণ করোনারি হার্ট ডিজিজ । বিশ্বব্যাপী মোট মৃত্যুর প্রায় ১৬ শতাংশ এর জন্য দায়ী ছিল।
২০১৯ সালে মৃত্যুর শীর্ষ চারটি কারণ পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে একই ছিল। সেগুলো হলো, করোনারি হৃদরোগ, স্ট্রোক, দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগ এবং নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ।
পুরুষদের মধ্যে, মৃত্যুর পঞ্চম কারণ হলো ফুসফুস ক্যান্সার এবং অন্যান্য শ্বাসনালী বা ব্রঙ্কাস সম্পর্কিত অসুস্থতা। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি আলঝাইমার রোগ এবং ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “এই স্নায়বিক রোগগুলো পুরুষদের তুলনায় নারীদের প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি হয়ে থাকে। এর পরেই রয়েছে ডায়াবেটিস।
করোনা মহামারির কারণে ম্যালেরিয়া নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক দেশের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ডাব্লুএইচও জানিয়েছে পরবর্তী বছরগুলোতে কিছু দেশে এটি করোনার থেকেও বড় হুমকি হতে পারে।
এইচআইভি / এইডস বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর শীর্ষ ১০ কারণ থেকে থেকে নেমে গেছে। ২০০০ সালে এটি বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর ৪র্থ স্থানে থাকলেও ২০১৯ সালে ১৯তম স্থানে নেমে গেছে।
হাম, কলেরা এবং পোলিওর মতো রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ফলে এইসব রোগে মৃত্যুর হার কমেছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এসএফ