TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

‘ব্রিটিশ পুলিশের মধ্যে রয়েছে যৌনতাবাদের বিষাক্ত সংস্কৃতি’

মার্চ মাসের শুরুর দিকে সারাহ ইভারার্ড নামের এক নারীর অপহরণ এবং হত্যার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছিল ব্রিটেন। সেই ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করল, নিহত মহিলার স্মরণে পথে নামা আমজনতার উপর লন্ডন পুলিশের বলপ্রয়োগ। অভিযোগ, স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা নারীরা বাদ যাননি পুলিশি নিগ্রহ থেকে। সব মিলে ব্রিটেনের রাজধানীতে পুলিশের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। উঠে এসেছে নারী নিরাপত্তার প্রশ্নও।

 

যুক্তরাজ্যের নটিংহামশায়ার পুলিশের প্রাক্তন চিফ কনস্টেবল সুসানাহ ফিশ তার অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন ব্রিটেন পুলিশের লিঙ্গ বৈষম্যের কথা। তিনি বলেন, পুলিশদের ভিতরে উল্লেখযোগ্য ভাবে রয়েছে ‘যৌনতাবাদের বিষাক্ত সংস্কৃতি’।

 

তিনি আরো বলেন, কর্মকর্তা নারীদের প্রতি ‘সংবেদনশীল’ হলেও অন্য অনেকেই আছেন যারা এমনটা মনে করেন না। নারীদের সাথে আপত্তিকর আচরণ করার অভিযোগও পাওয়া গেছে অনেক ক্ষেত্রে। আমি বিচার ব্যবস্থার মধ্যে একজন নারী হিসাবে জানি, এটি কতটা দুঃখজনক।

 

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রাইম এন্ড জাস্টিস টাস্কফোর্সের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেছেন, নারীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতা রোধের আমাদের ঐক্যবদ্ধ করবে সারাহ ইভারার্ডের মৃত্যু। তিনি বলেন, অভিযোগ যথাযথভাবে শুনা উচিত।

 

তবে হ্যাম্পশায়ার পুলিশের চিফ কনস্টেবল ও জাতীয় পুলিশ প্রধানদের কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্বকারী অলিভিয়া পিঙ্কনি বলেছেন, নারীরা যখনি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে তাদের কথা শোনা হবে, তাদের সমর্থন করা হবে।

 

সারা-হত্যার ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মোমবাতি জ্বালিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পরে বরিস জনসন টুইট করেন, এই ভয়ঙ্কর ঘটনার কারণ খুঁজে বের করবো। পথে নারীরা যাতে হেনস্থা-নির্যাতনের শিকার না-হন, তা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় তাই করব।

 

সূত্র: বিবিসি
১৭ মার্চ ২০২১
এসএফ

আরো পড়ুন

ব্রিটেন ‘অন্ধকার যুগে’ ঢুকেছেঃ অভিবাসন নীতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের কড়া সমালোচনায় আলবেনীয় প্রধানমন্ত্রী

অর্থনৈতিক সংকটে যুক্তরাজ্যের হাই স্ট্রিট ব্র‍্যান্ডের বিভিন্ন ব্রাঞ্চ বন্ধ হবার পথে

যুক্তরাজ্যে শিশু ধর্ষক ও গ্রুমিং গ্যাংয়ের নেতা কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন