আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেছে যুক্তরাজ্য৷ ফলে দেশটির বাণিজ্যিক অবস্থান কেমন যাচ্ছে?
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট ট্রানজিশন চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে প্রায় অর্ধ মাস। এরমধ্যে ইইউ স্টকগুলো দৈনিক প্রায় ৬ বিনিয়ন পাউন্ড হারাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো এটি একক সময়ের ক্ষতি ছিল নাকি আরো বড় আর্থিক ক্ষতির লক্ষণ।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছিলেন, লন্ডন শহরটি ব্রেক্সিটের পরে ‘মানিয়ে নেবে এবং প্রবলভাবে উন্নতি করবে’, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উলটা ঘটনা।
লন্ডন শহর নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা সম্পর্কে এতকাল আশাবাদী ছিলো৷ ১ জানুয়ারি ইইউ-র অভ্যন্তরীণ বাজার ও শুল্কমুক্ত এলাকা ত্যাগ করার পরেও বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় লেনদেন আগের মতোই চলবে, এমনটাই ভেবে রেখেছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা৷
ইইউ নিজস্ব স্বার্থে ভবিষ্যতেও লন্ডনের মতো আর্থিক কেন্দ্রের সুবিধা ভোগ করতে চাইবে বলে ভেবেছিলেন তারা৷ বিশেষ করে বিষয়টি চূড়ান্ত ব্রেক্সিট সংক্রান্ত মূল আলোচনার বাইরে রাখায় সেই আশা আরও জোরালো হয়েছিল৷ কিন্তু লন্ডন সিটি এই এক সপ্তাহে ব্রেক্সিটের স্বাদ পেয়েছে এবং এটি মোটেও আনন্দদায়ক ছিল না।
এক সপ্তাহের মধ্যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ব্রেক্সিট বাণিজ্য চুক্তির প্রভাব দেশের উপরে এবং বিশেষ করে ব্যবসায়িদের উপর পড়ছে। সঠিক শুল্কের কাগজপত্র না পাওয়ায় খাদ্য বিতরণে বিলম্ব হচ্ছে, লজিস্টিক সংস্থাগুলো পণ্য চালান থামিয়ে দিচ্ছে এবং খুচরা বিক্রেতারা তাদের সরবরাহ আগের মতো পাচ্ছে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্ক ইউনিয়ন এবং একক বাজা্রগুলো এবং ব্রিটেনের ব্যবসায়গুলো প্রতিদিন নতুন চ্যালেঞ্জের ম্যখমুখি হচ্ছে। ব্রিটেন বাসিরা এখন লন্ডনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবসার ক্ষেত্রে তাদের শক্ত অবস্থান হারাচ্ছেন।
সূত্র:ইন্ডিপেন্ডেন্ট
১২ জানুয়ারি ২০২১
এসএফ/এনএইচ