আশ্রয়প্রার্থীদের সাথে কাজ করা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সমালোচনার পরে প্রীতি প্যাটেল নতুন অভিবাসন বিধিমালার পক্ষে দাবি করেছেন এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে না বলে। যদিও এই নতুন নিয়মের কারণে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে আগমন করলে আশ্রয় দাবি করা শক্ত হয়ে যাবে।
অভিবাসন ব্যবস্থাটি পুনর্বিবেচনার নতুন পরিকল্পনার আওতায় প্যাটেল বলেছেন, যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের জন্য কঠোর ফৌজদারি মামলা আরো কঠোর করা হবে। এটি ইংলিশ চ্যানেল জুড়ে বিপজ্জনক ভ্রমণকারীদের সংখ্যা হ্রাস করবে বলে মনে করছেন তিনি।
লোক পাচারকারীদের জন্য আরও কঠোর নিয়মের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রসচিব বলেছেন, অবৈধভাবে আগতদের আইনগতভাবে আগতদের মতো আর অধিকার থাকবে না। পাশাপাশি তাদের পক্ষে এদেশে থাকা আরো কঠিন হয়ে যাবে।
হোম অফিসের পরিসংখ্যান বলছে যে ২০২০ সালে ৮৫০০ জন ইংলিশ চ্যানেল পার করে এসেছে এবং অনুমান করা হচ্ছে প্রায় ৮০০ জন ইতোমধ্যে এই বছর অবৈধ ভাবে এসেছে।
তবে সেফ প্যাসেজ ইন্টারন্যাশনালের চিফ এক্সিকিউটিভ বেথ গার্ডিনার-স্মিথ এই পদ্ধতির চূড়ান্ত সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এই সংস্কারগুলো বিপজ্জনক চ্যানেল ক্রসিং রোধ করতে পারবে না। যুদ্ধ এবং নির্যাতন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আরো দুর্দশায় ফেলবে।
এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন না করার বিষয়ে প্রীতি প্যাটেল জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় কনভেনশন এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ৮০ মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছে এ পৃথিবীতে। এটি কেবল যুক্তরাজ্যের একার বিষয় নয়, বিশ্বের সমস্ত দেশকে একত্র হয়ে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, তাদের জীবন রক্ষা করা এবং নিজের দেশ থেকে পাচার হওয়া লোকদের আটকাতে সে দেশগুলোর নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। আমরা ভূমধ্যসাগরে মানুষ মারা যেতে দেখেছি, আমরা ফ্রান্সের উপকূলে মানুষকে আক্ষরিক অর্থে মরতে দেখেছি। গত সপ্তাহে আমরা একটি লরির পিছনে মৃতদেহ পেয়েছি, এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
সূত্র: বিবিসি
২৪ মার্চ ২০২১
এসএফ