মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ এবং বিনোদন জগত বন্ধ যুক্তরাজ্যে৷ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুরু হওয়া ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে টিকাগ্রহণ শেষ হলে নাগরিকদের পরীক্ষামূলকভাবে একটি ‘পাসপোর্ট’ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার।
নাগরিকরা প্রথম বা দ্বিতীয় ধাপে টিকা গ্রহণ করেছেন কিনা তা উল্লেখ থাকবে এই দলিলে। যদি টিকা না পেয়ে থাকেন সেটিও দেখা যাবে এতে।
যুক্তরাজ্যের প্রতি চারজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ইতোমধ্যে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন। এদিকে এই ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিয়ে নাগরিকদের মাঝে দেখা যাচ্ছে নানান রকমের বিভ্রান্তি এবং প্রশ্ন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এটি কোনও ধরনের পূর্ণ “পাসপোর্ট” না হয়ে একটি কাগজের প্রশংসাপত্রের আকারে আসতে পারে, যা লোকেরা নিজের কাছে বা স্মার্টফোন অ্যাপে রাখতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি ভ্যাকসিন সেন্টারে পরিদর্শন করতে গিয়ে জোর দিয়ে বলেন, পাব অথবা সুপারমার্কেটে যেতে কারো ভ্যাকসিন পাসপোর্টের দরকার হবে না।
তবে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই পাসপোর্টের দরকার হবে। অনেক দেশ ইতোমধ্যে দাবি করেছে তাদের দেশে ভ্রমণের জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিতে হবে।
বরিস জনসন বলেছেন, সুতরাং আমরা নিশ্চিত করতে চাই ব্রিটিশরা যাতে একটি দলিলে তাদের টিকা দেওয়ার প্রমাণ দেখাতে পারে।
সরকার জোর দিয়ে বলেছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট আপনাকে চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ দেবে না।
তবে কিছু সংস্থা বলেছে, তারা কেবলমাত্র ভ্যাকসিন নেওয়া লোকদের কাজে নেবে। মন্ত্রীরা বলছেন, ব্যক্তিমালিকানার কোনো প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট লোকদের প্রবেশ বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে। সুতরাং এক্ষেত্রে সরকার কিছু করতে পারছে না।
সূত্র: মিরর
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এসএফ/এনএইচ